সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯২

গাজায় শনিবার রাতভর ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৯২ জন নিহত হয়েছে। হামাস পরিচালিত সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, শনিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী যেসব জায়গায় বোমা ফেলেছে তার মধ্যে মিসর সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলও রয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে গাজার নানা প্রান্ত থেকে আসা অনেক মানুষ ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাজার উত্তরাঞ্চলের অনেকাংশই এখন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তাদের পদাতিক বাহিনী মধ্যাঞ্চল হয়ে এখন গাজার দক্ষিণাংশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণের সর্ববৃহৎ নগরী খান ইউনিস ঘিরে তীব্র লড়াই চলছে। এ অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ মানুষ রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেও নিয়মিত আকাশ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর আগে রাফাহতে প্রায় ২ লাখ মানুষ বসবাস করত। এখন গাজার অর্ধেকের বেশি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ-এর একজন প্রতিনিধি রাফাহকে ‘হাতাশার প্রেসার কুকার’ বলে বর্ণনা করে পরবর্তীতে ছোট্ট ওই ভূখ টিতে কী ঘটতে চলেছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী এক সময় ‘রাফাহতেও পৌঁছে যাবে’ বলে গত বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গালান্ত।

রাফাহতে পালিয়ে আসা মাহমুদ আবু আল-শার কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। দয়া করে একটি যুদ্ধবিরতিতে আসুন। যেন আমরা নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারি।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয় গত সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে শনিবার লেবাননে এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ওসামা হামদান বলেন, গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।

সর্বশেষ খবর