পাকিস্তানে রাজনীতির বোমা ফাটালেন মাওলানা ফজলুর রেহমান। এতদিন ইমরান খান যে অভিযোগ করে এসেছেন, এবার তিনিও সেই সুরে সুর মিলালেন। বললেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল জাভেদ কমর বাজওয়ার নির্দেশনায়। তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের বিরোধী ছিলাম। নিয়মের ভিতরে থেকে যা করা যায় আমি তাই করেছি। যদি এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু করত এস্টাবলিশমেন্ট তাহলে ৯ মের সহিংসতার বিষয়টিকে দাফন করা যেত।

ফজলুরের দাবি, পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ইমরানের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন জেনারেল বাজওয়া। দলের অন্দরে বিদ্রোহ, বিরোধীদের নজিরবিহীন জোট ও সুপ্রিম কোর্টের ধারাবাহিক ভর্ৎসনায় বিদ্ধ হয়ে ২০২২ সালের ১০ এপ্রিলে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। কট্টরপন্থি দল জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম-ফজলের (জেইউআইএফ) প্রধান আরও অভিযোগ করেছেন, দুই বছর আগে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরানের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন জেনারেল বাজওয়াসহ প্রথম সারির সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনাচক্রে সে সময় ইমরানবিরোধী জোটের অন্যতম মুখ ছিলেন ফজলুর। তার দাবি, বিরোধী জোটে যোগ দেওয়ার জন্য জেনারেল বাজওয়ার ‘দূত’ হয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদ।

ফজলুর বলেন, ‘২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার ওই তৎপরতা হয়েছিল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামের একটি জোটের মাধ্যমে। যার স্রষ্টা ছিল সেনা।’ তিনি জানান, শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএলএন, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপির পাশাপাশি জেইউআইএফ, মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের মতো কয়েকটি দলকে ইমরানবিরোধী ওই জোটে শামিল করতে সক্রিয় ছিলেন তারা। ফজলুরের দাবি, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পার্লামেন্টে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিরোধী হলেও শেষ পর্যন্ত নানা চাপের মুখে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার তৎপরতায় যোগ দিয়েছিলেন।