শিরোনাম
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সেনাবাহিনীতে যোগদান এড়াতে পালাচ্ছে মিয়ানমারের তরুণরা

তরুণদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যুক্ত করতে সম্প্রতি নতুন আইন করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এর অধীনে প্রতি বছর দেশটিতে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে কমপক্ষে ৬০ হাজার তরুণ-তরুণীকে। কিন্তু এমন আইনের ফলে বিভিন্ন কারণে আগে থেকেই হতাশ তরুণরা এবার দেশ ছেড়ে পালানোর কথা ভাবছেন।

শ্রমিক অধিকারকর্মীদের বরাত দিয়ে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি বলছে, দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করা তরুণদের বেশির ভাগই পাড়ি জমাতে পারে থাইল্যান্ডে। গত সপ্তাহে সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের বাধ্যতামূলক আইনটি কার্যকর করবে। এ আইনে ১৮-৩৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ১৮-২৭ বছর বয়সী নারীদের জন্য অন্তত দুই বছর সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর গত বছরের শেষ দিক থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সমন্বিত হামলা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে জান্তা। গত শনিবার সামরিক সরকারের ঘোষণার পর থেকে তরুণ-তরুণীরা মিয়ানমার ছাড়তে চাইছেন। ইয়াঙ্গুনের থাই দূতাবাসে লাইন ধরে দাঁড়ানো তরুণ-তরুণীরা ভিসা পেতে চাইছেন।

গতকাল এএফপির এক সাংবাদিক বলেছেন, ১ হাজার থেকে ২ হাজার মানুষ দূতাবাসের কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন। অথচ শনিবারের ঘোষণার আগে এ সংখ্যা ১০০ জনের কম থাকত। দূতাবাস জানিয়েছে, চাপ সামলাতে প্রতিদিন ৪০০ নম্বরযুক্ত টিকিট দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় দূতাবাসটিতে এসেছেন ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অং ফাইয়ো। মধ্যরাতে লাইনে দাঁড়ানো শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত একটি প্রাইভেট কারে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। এএফপিকে তিনি বলেছেন, আমাদের ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভোর ৩টার দিকে নিরাপত্তাকর্মীরা গেট খুলে দেন। টোকেন পেতে আমাদের দৌড়ে দূতাবাসের সামনে যেতে হয়েছে।

সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের আইনটি ২০১০ সালে আগের জান্তা প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু এখন কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে তা স্পষ্ট নয়। আইনটি কার্যকরের ঘোষণায় বিস্তারিত জানানো হয়নি। কাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা-ও নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। কিন্তু তরুণরা অপেক্ষা ও তা জানতে আগ্রহী নয়। জান্তা মুখপাত্র ঝাও মিন তুন শনিবার বলেছিলেন, সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের আইনটি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য। এএফপি

 

 

সর্বশেষ খবর