মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কাতারে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল

ওয়াশিংটন বলেছে, সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে

গাজায় শিগগিরই একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে চাপের মুখে রয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে আক্রমণ বন্ধের চাপেও রয়েছে দেশটি। এ অবস্থায় গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সমঝোতার বিভিন্ন শর্তের বিষয়ে আলোচনার জন্য কাতারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। গতকাল তারা রওনা দেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওয়াশিংটন বলেছে, যুদ্ধবিরতির সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রটি বলেছে, সামরিক ও গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলকে আলোচনায় সমর্থন একটি অপারেশনাল সেন্টার তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে প্রস্তাবিত ফিলিস্তিনি বন্দিদের যাচাই করা। জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে এসব বন্দিকে মুক্তির দাবি করে আসছে হামাস। ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল পরামর্শ দিয়েছে, গাজা যুদ্ধের চলমান শান্তি আলোচনা যে কোনো সময়ের চেয়ে দীর্ঘ হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে এই উদ্যোগ গতি পেয়েছিল। ওই সময় হামাস সাড়ে চার মাসের এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে। গত সপ্তাহে প্যারিসে ইসরায়েলি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জিম্মি মুক্তি চুক্তির শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে সেই আলোচনায় হামাসের উপস্থিতি ছিল না।

ইসরায়েলি স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলা : লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দখলদার বাহিনীর ওপর তারা এ হামলা চালায়। রবিবার হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা লেবানন সীমান্তের কাছে আল-মালিকিয়া এলাকার দুটি ভবনে জড়ো হওয়া ইহুদিবাদী সেনাদের ওপর হামলা চালায়। হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা উপযুক্ত অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং সরাসরি ইহুদিবাদী সেনাদের ওপর এসব অস্ত্র আঘাত হানে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই, ইসরায়েলের আগ্রাসনে মানবিক বিপর্যয় গাজায়। সেখানে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা খাবারের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আবু জিবরিল আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তার পরিবারের সদস্যরা খাবারের জন্য এতটাই মরিয়া ছিলেন যে, ঘোড়ার মাংস ছাড়া তার কাছে আর কোনো উপায় ছিল না।

 

সর্বশেষ খবর