বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পশ্চিমা বিশ্বকে পুতিনের হুঁশিয়ারি

রাশিয়ার ভিতরে হামলা করার জন্য ইউক্রেনকে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে পশ্চিমাদের এমন সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। গতকাল তিনি বলেন, ইউরোপে ন্যাটো সদস্যরা আগুন নিয়ে খেলছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, তাদের এমন পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধ। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এটি। মূলত প্রথম থেকেই এ যুদ্ধে কীভাবে রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি বন্ধ করা যায় তা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে পশ্চিমারা। এতে একটি ক্রমবর্ধমান বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘এটি বলা কঠিন তারা কি বিশ্বব্যাপী সংঘাত চায়?’ পুতিন এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মূলত ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘জোটের সদস্যদের উচিত ইউক্রেনকে পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে দেওয়া।’ এ কৌশলকে কিছু ন্যাটো সদস্য সমর্থন দিলেও যুক্তরাষ্ট্র তাতে আপাতত রাজি নয়। ইউরোপে ন্যাটো সদস্যদের কেউ কেউ ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করার জন্য পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে।  ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক স্থল যুদ্ধের সূচনা হয়; যা পুরোদমে এখনো চলমান। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পুতিন প্রতিনিয়ত সংঘাত ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকির কথা বলেছেন। কারণ ইউক্রেনকে রক্ষা করতে পশ্চিমারা কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে পুতিন তাসখন্দে সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের বলেন, ক্রমশ আতঙ্ক বৃদ্ধি গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদি ইউরোপে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অস্ত্রের ক্ষেত্রে আমাদের সমতার কথা মাথায় রেখে কীভাবে আচরণ করবে? পুতিন আরও বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর দূরপাল্লার অস্ত্র নিয়ে ইউক্রেনের হামলার জন্য পশ্চিমা স্যাটেলাইট, গোয়েন্দা তথ্য এবং সামরিক সাহায্যের প্রয়োজন হবে। তাই এমনটা হলে তাতে পশ্চিমারা সরাসরি জড়িত হবে। একই সঙ্গে ইউক্রেনে ফরাসি সেনা পাঠানো বৈশ্বিক সংঘাতের দিকে একটি পদক্ষেপ হবে।’

ন্যাটো সদস্যদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পুতিন বলেন, ‘ছোট দেশগুলোকে বুঝতে হবে, তারা ঠিক কাদের সঙ্গে খেলছে।’ এটির মাধ্যমে মূলত এ দেশগুলোর ছোট সীমানার মধ্যে বহু সংখ্যক লোকের বসবাসের দিকটি ইঙ্গিত করে। পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে আঘাত করার বিষয়ে কথা বলার আগে তাদের এ ফ্যাক্টরটি মনে রাখা উচিত।’

 

 

সর্বশেষ খবর