বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফর নতুন বহুমুখী বিশ্বের প্রতিশ্রুতি

পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফর নতুন বহুমুখী বিশ্বের প্রতিশ্রুতি

পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলিঙ্গন করছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন -এএফপি

২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া সফরে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার ভোররাতে পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন উত্তর  কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এ সময় দুই নেতা তাদের ভাব বিনিময় করেন এবং দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

পুতিনের এ সফরের খবরটি এমন সময় এলো যখন উভয় দেশই আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। এমন সংকটময় একটি পরিস্থিতিতে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দেশ দুটির এ অংশীদারি ‘নতুন বহুমুখী বিশ্বকে ত্বরান্বিত করার একটি শক্তি’ হিসেবে কাজ করবে। পুতিনের এ সফর দুই দেশের বন্ধুত্ব, ঐক্য ও স্থায়িত্বের প্রতিনিধিত্ব করছে। ওয়াশিংটনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করে চলেছে রাশিয়া। ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়া উত্তর কোরিয়া মস্কো থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন এবং বাণিজ্যের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য রাশিয়া সহায়তা করতে পারে। এমন পদক্ষেপ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে তারা পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, সেসব অস্ত্র ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করেছে রাশিয়া। তবে তাদের এমন দাবি অস্বীকার করেছে মস্কো ও পিয়ংইয়ং।

পুতিনের পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভের বরাতে রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বুধবারের এজেন্ডায় দুই নেতার মধ্যকার আলোচনার পাশাপাশি একটি গালা কনসার্ট, রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার, নথিতে স্বাক্ষর এবং মিডিয়ার কাছে একটি বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সফরের আগে প্রেসিডেন্টের আদেশ জারি করে পুতিন বলেছিলেন, মস্কো উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারি চুক্তি’ স্বাক্ষর করতে চাইছে। উশাকভ বলেন, এতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা থাকবে। চুক্তিটি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে যাবে না। তবে এটি ‘বিস্তৃত সহযোগিতার জন্য একটি সম্ভাবনার রূপরেখা দেবে।’

সর্বশেষ খবর