শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

১৪ বছর পর পরিবারের মাঝে অ্যাসাঞ্জ

১৪ বছর পর পরিবারের মাঝে অ্যাসাঞ্জ

দীর্ঘ ১৪ বছরের আইনি লড়াই শেষে মুক্ত হয়ে পরিবারের কাছে ফিরেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। স্থানীয় সময় গতকাল রাত ৮টার দিকে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় পৌঁছান তিনি। সেখানে অ্যাসাঞ্জকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ, বাবা জন শিপটনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। অ্যাসাঞ্জকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।  বিবিসি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে হাজির হয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। শুনানি শেষে অ্যাসাঞ্জকে মুক্ত ঘোষণা করেন আদালত। এরপরই তিনি নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়া হন।

২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১০ সালে উইকিলিকস থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বহু গোপন নথি ফাঁস করে দেন তিনি। এতে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ  গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি প্রকাশ্যে চলে আসে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে  শোরগোল পড়ে গেলে মার্কিন সরকারের রোষানলে পড়েন অ্যাসাঞ্জ। তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলার তদন্ত শুরু করে মার্কিন বিচার বিভাগ। সে সময় লন্ডনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অ্যাসাঞ্জ। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর দুই বছর ছিলেন আত্মগোপনে।

অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সালে ইকুয়েডরের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন। এরপর থেকে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে ছিলেন। তবে ইকুয়েডরে নাগরিকত্বের মেয়াদ শেষ হলে, ২০১৯ সালে তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায় ব্রিটিশ পুলিশ। যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। এর মধ্যেই গত সোমবার জানা যায়, মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘সমঝোতা চুক্তি’র ভিত্তিতে তিনি মুক্তি পাচ্ছেন।

চুক্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁসের যে ফৌজদারি অভিযোগ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, মার্কিন সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে সাইপানের আদালতে তা স্বীকার করেন তিনি। পরে চুক্তি অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপটিতে যান অ্যাসাঞ্জ। সেখানকার আদালতে তিন ঘণ্টার শুনানিতে অংশ নেন এবং নিজের দোষ স্বীকার করেন। প্রধান ডিস্ট্রিক্ট জজ রামনা ভি মাংলনা অ্যাসাঞ্জের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন।

সর্বশেষ খবর