বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজায় ইসরায়েলি তান্ডবে প্রাণহানি বেড়ে ৩৭৬৫৮

♦ দুর্ভিক্ষের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে গাজা। সেখানে ৪ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ভয়াবহ খাদ্যঘাটতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ♦ প্রতিদিন পঙ্গু হচ্ছে ১০ শিশু

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চলছেই। সেখানে প্রায় আট মাস ধরে ৩৭ হাজার ৬৫৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৬ হাজার ২৩৭ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু। আর সেখানে প্রতিদিন ১০টি শিশুকে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু হত্যাযজ্ঞই নয়, খাদ্য ও পানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় যারা বেঁচে আছেন তারা চরম সংকটে সময় পার করছেন।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল গাজা সিটির একটি জনাকীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্র এবং খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। হামলার পর একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

মাসের পর মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে দুর্ভিক্ষের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে গাজা। সেখানে ৪ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ভয়াবহ খাদ্যঘাটতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ইসরায়েলি বাহিনী ভয়াবহ আগ্রাসনে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাকও সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে একদিকে খাবার নিয়ে ত্রাণবাহী গাড়ি অপেক্ষা করছে অন্যদিকে তীব্র ক্ষুধায় ছটফট করছে গাজার ছোট ছোট শিশু, নারী, পুরুষ এবং বয়স্ক লোকজন।

সেখানে সংঘাত শুরুর পর কয়েকবার মাত্র ত্রাণবাহী গাড়ি গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। বাইরে থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় এবং ক্রমাগত হামলা চলতে থাকায় গাজায় ভয়াবহ বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট শিশুরা খাবারের অভাবে এবং তীব্র পুষ্টিহীনতায় মারা যাচ্ছে। একদিকে দফায় দফায় বোমা হামলা  অন্যদিকে খাদ্যসংকট, বাসস্থানের সংকট, একটু মাথা গোজার নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব সবকিছু মিলিয়ে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের যেন  কোনো শেষ নেই।

সর্বশেষ খবর