সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

পশ্চিম তীরের ৬১ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে

৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে মোট ১,১২২টি হামলা চালিয়েছে - ইসরায়েল ৪০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং দেশটির অনবরত বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ফিলিস্তিনের প্রায় ১৯ লাখ মানুষ

 

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের কমপক্ষে ৬১ শতাংশ ভূমি সরাসরি ইসরায়েল অথবা দেশটির নাগরিকদের দখলে রয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা। দখলকৃত পশ্চিম তীরে   বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার অবৈধ   বসতি স্থাপনকারী রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালে দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ২৩.৭ বর্গ কিলোমিটার জায়গা ইসরায়েল  দখল করেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ভূখন্ড ও সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে রেখেছে। এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) তার এক রায়ে (অ্যাডভাইজরি অপিনিয়ন) বলেছে ইসরায়েল বসতি নীতি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। আইসিজে তার অ্যাডভাইজরি অপিনিয়নে আরও বলেছে ফিলিস্তিন অধ্যুষিত অঞ্চলে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। অ্যাডভাইজরি অপিনিয়নের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি একটি অ্যাবজার্ড অপিনিয়ন। জাতিসংঘের তথ্যমতে ইসরায়েলের বসতিরা ৭ অক্টোবরের পর  থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে মোট ১,১২২টি হামলা চালিয়েছে। এটি আরও বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি হামলা করছে।

বৈশ্বিক এ সংগঠনটি বলেছে ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েল ৪০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং দেশটির অনবরত বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ফিলিস্তিনের প্রায় ১৯ লাখ মানুষ। ফিলিস্তিনের সশস্র গোষ্ঠী হামাস কর্তৃক ইসরায়েলের ভিতরে ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা চালিয়ে আসছে। দেশটির বিমান ও স্থল হামলায় ফিলিস্তিনে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলের বর্বর এসব হামলায় গাজার কোনো কিছুই আর অক্ষত নেই। গাজার সব হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরেও প্রতিনিয়ত হামলা চালানো হচ্ছে। দুই-তিনটি ছাড়া এসব হামলায় গাজার কোনো হাসপাতাল আর কার্যকর নেই।

এদিকে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে লড়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশ লেবাননের সশস্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হিজবুল্লাহ ইসরায়েল সীমান্তে নিয়মিত মিশাইল, রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী ও এর বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করছে।    ইসরায়েলও এসব আক্রমণের পাল্টা জবাব দিচ্ছে নিরীহ লেবাননিদের হত্যা করে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আরব সাগর দিয়ে ইসরায়েল পণ্য বহনকারী সব বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেসব জাহাজ চলাচল করছে, হুতি বিদ্রোহীরা সেসব জাহাজে মিশাইল ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। এমনকি ইয়েমেন মাঝে-মধ্যে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও মিশাইল ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর