শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

ধেয়ে আসছে গ্রহাণু লাগলেই একাংশ হারাবে পৃথিবী!

অনেকের ধারণা, ২০৩২ সালের ২৬ আগস্ট পৃথিবী বলে কিছু থাকবে না, হারিয়ে যাবে সৌরজগৎ থেকে। এ শঙ্কাকে অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন ইউক্রেনের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

তারা বলছেন, একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে। যেনতেন গ্রহাণু নয় এটি। বিশালাকার গ্রহাণুটির শক্তি ২ হাজার ৫০০ পরমাণু বোমার সমান। চওড়ায় ১ হাজার ৩০০ ফুট। আঘাত হানলে পৃথিবীর ১০ লাখ বর্গমাইল এলাকা যাবে হারিয়ে। ২০১৩ টিভি ১৩৫ নামের ওই গ্রহাণুটি দেখতে পেয়েছে ক্রিমিন অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল অবজারভেটরি। এরই মধ্যে এটিকে দেখতে পাওয়া গ্রহাণুগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বিপজ্জনক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা খুবই কম। ৬৩ হাজার বারের মধ্যে মাত্র একবার এটির পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, পৃথিবীর স্বাভাবিক গতিতে চলার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯ শতাংশ। যদি আঘাত হানে তাহলে পৃথিবীর ১০ লাখ বর্গমাইলে ধ্বংসের সঙ্গে জলবায়ুতেও আসবে মারাত্দক পরিবর্তন। রুশ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, যদি গ্রহাণু পৃথিবী আঘাত করে তাহলে এটি পৃথিবীর পাশঘেঁষে যাবে। পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে এর দূরত্ব থাকবে ১০ লাখ মাইল। এ কারণে নাসা গ্রহাণুটিকে 'সম্ভাব্য অনিষ্টকর' হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিজ্ঞানীরা বিপদের মাত্রা হিসাব করে এ গ্রহাণুকে দিয়েছেন তোরিনো স্কেলের ১০-এর মধ্যে ১। এর আগে মাত্র একটি গ্রহাণুকে ১ দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বাকি যতগুলো গ্রহাণু দেখা দিয়েছিল বা পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল সেগুলোর রেটিং ছিল শূন্য (০)। পৃথিবীতে আঘাত হানা বা পৃথিবীর পাশঘেঁষে যাওয়া গ্রহাণু বা ধূমকেতুর ভয়াবহতা পরিমাপের স্কেল হচ্ছে তোরিনো। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৪ সালের দিকে গ্রহাণুটি পৃথিবীর নিকটবর্তী হবে। সে সময় এর গতিবিধি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারবেন তারা। ২০৪৮ সালে পৃথিবীতে ২০০৭ ভিকে ১৮৪ নামের গ্রহাণুর আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০০৭ সালে আবিষ্কৃত গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ২ হাজার ৭০০ বারের মধ্যে একবার। ৪২০ ফুট প্রস্থের প্রহাণুটির তোরিনো রেটিং ছিল ১।

সর্বশেষ খবর