সিলেট বিভাগের চার মন্ত্রীর আসনে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন ২১ নতুন মুখ। বয়সে তরুণ এসব নেতাদের বেশিরভাগেরই নির্বাচনের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তরুণদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে- এমন সম্ভাবনায় তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সিলেট-১ আসনে এবারও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী- কিছুদিন আগেও এটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। সিটি করপোরেশনে পরাজয়ের পর এ আসনে প্রার্থী হিসেবে নাম উঠে আসে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের। অর্থমন্ত্রী মুহিতের চেয়ে কামরানের জনসম্পৃক্ততা বেশি থাকায় তাকে দিয়ে দল আসন ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারে_ এমন ধারণা দলীয় নেতা-কর্মীদের। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ছাড়াও এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে এবার নতুন প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ চৌধুরী, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারওয়ার হোসেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আফছার খান। সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে এতদিন একক প্রার্থী দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এবার তার আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল হক। সিলেট বিভাগের চার মন্ত্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী হবিগঞ্জ-৪ আসনে। এ আসন থেকে ৬ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ১০ নেতা। নতুন মুখের মধ্যে রয়েছেন_ হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসিম, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন জিতু, চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদির লস্কর, মাধবপুর আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ মো. মুসলিম, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সৈয়দ কায়সারের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ তানভির আহমেদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম এন ইসলাম মুনির, আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী আরিফুল হাই রাজীব, সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন।