শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

টিকিট নয়, বাস ট্রেনের ভাড়া মিটবে স্মার্ট কার্ডে

রাজধানীর বাস-ট্রেনের যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য এখন আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। এমনকি যে পরিমাণ দূরত্ব তারা অতিক্রম করছেন ঠিক সে হিসেবেই তারা ভাড়া মিটাচ্ছেন। এক পয়সা বেশি বা কম নয়। টিকিট চেকারের সঙ্গে খুচরা নিয়ে তর্ক করার দিনও শেষ। আর এসবই সম্ভব হচ্ছে আইসিটি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে। আধুনিক এ কার্ডটির মাধ্যমে যাত্রীরা নগদ টাকার পরিবর্তে ভাড়া পরিশোধ করছেন 'এস পাস' স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে। কার্ডের ব্যালেন্স শেষে রয়েছে এস কার্ডের টিকিট শপ থেকে রিচার্জের সুবিধা। বর্তমানে রাজধানীর বিআরটিসি ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত রুটে ৩০ হাজারেরও বেশি যাত্রী এ সুবিধা নিচ্ছেন। শীঘ্রই রাজধানীর সব রুট, স্কুল বাস সার্ভিস, ট্রেন ও অন্যান্য পরিবহনেও এ কার্ডের মাধ্যমে টিকিটের মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে চলাচলকারী গণপরিবহনের ভাড়া ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। আর 'জাইকা'র অর্থায়নে চলছে পাইলট প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। প্রকল্পে সহযোগিতা করছে রেল মন্ত্রণালয়, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ)। এর কারিগরি সহায়তা করছে এন-ওয়েভ কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড। পরীক্ষামূলকভাবে ২১ অক্টোবর ২০১৩ থেকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এস পাস কার্ডের মূল্য ৩০০ টাকা। (যার ১০০ টাকা জামানত বা ফেরতযোগ্য)। বিবেচনায় কার্ডের মেয়াদ বৃদ্ধিও হতে পারে। এ ব্যাপারে এস পাসের কারিগরি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা এন-ওয়েভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান আলী শাওন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ইতোমধ্যেই বিআরটিসিও ৩০টি রুটে প্রায় ২৬ হাজার এস পাস স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া গত মাস থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীরাও এ সুবিধা গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। রেলের আরও প্রায় এক হাজার কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। বিআরটিসির বাসে যাতায়াতের জন্য রাজধানীর মিরপুর-১০, ১১ ও ১২ নম্বরে এস পাসের টিকিট শপ আছে। বিআরটিসি বাসের যাত্রীরা ২০১১ সাল থেকে এস পাস স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া রেলে যাতায়াতের জন্য শিববাড়ি, আবদুল্লাহপুর, হাউস বিল্ডিং, আজমপুর, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, বনানী, ফার্মগেট, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, মতিঝিল, পল্টন ও গুলিস্তানে এস পাসের টিকিট শপ আছে। যেখানে কার্ডটি ক্রয় ও রিচার্জ করা যায়।

এস পাসের এক ব্যবহারকারী এআইইউবি'র শিক্ষার্থী সজীব বলেন, এ কার্ডের মাধ্যমে বাসের টিকিট কাটার বাড়তি সময় বেঁচে গেছে। কখনো টাকা কম থাকলেও বাস ভাড়ার জন্য আর চিন্তা করতে হয় না। সংশ্লিষ্টরা জানান, কার্ডটি ব্যবহারের জন্য প্রথমে টিকিট শপ থেকে এস পাসের কার্ডটি রিচার্জ করতে হবে। বাসে বা ট্রেনে ওঠার এবং নামার সময় নির্দিষ্ট স্থানে কার্ডটির স্পর্শ করাতে হবে। সবশেষে বাহন থেকে নামার পর কার্ডের ব্যালেন্স দেখতে হবে।

সর্বশেষ খবর