শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
সফল মানুষ

গরুর খামার করে স্বাবলম্বী নোবেল

গরুর খামার করে স্বাবলম্বী নোবেল

নওগাঁ শহরের বেকার যুবক মো. নুরুল আলম নোবেল। অবসরপ্রাপ্ত বিজিবির সদস্য মৃত নঈম উদ্দিনের জ্যেষ্ঠ পুত্র। শহরের উকিল পাড়ার বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। নোবেল জানান, জীবনের সফলতা অর্জনের অদম্য বাসনা ছিল তার। কিন্তু লেখাপড়ায় বেশি দূর এগোতে পারেননি। তারপরও স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন জীবনের শুরু থেকেই। স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায় বিভিন্ন ব্যবসা করার প্রচেষ্টায় কোনো অবহেলা নেই তার। সবশেষ ভিডিও ক্যাসেটের ব্যবসা শুরু করেন। বিয়ে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ভিডিও চিত্র ধারণ, কম্পোজিশন, এডিটিং ছাড়াও ভিডিও ফিল্ম বিক্রির ব্যবসায় শহরে পরিচিতি লাভ করেন ব্যাপকভাবে। এক সময় সে ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ে। শুরু হয় নতুন ব্যবসার সন্ধান। অবশেষে ২০১০ সালে শহরের রামভদ্রপুর এলাকায় নিজস্ব জমির ওপর একটি গরুর খামার গড়ে তুলেন। প্রাথমিকভাবে ৫টি ফ্রিজিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের ৫টি গরু নিয়ে শুরু করেন। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে সফলতার মুখ দেখতে চলেছেন নোবেল। ৫টি গরু থেকে বর্তমানে তার ওই খামারে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০টি। এর মধ্যে ১৭টি গাভী রয়েছে। বর্তমানে সেগুলোর মধ্যে ৮টি গাভী দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন ওই ৮টি গাভী থেকে কমপক্ষে ১২০ কেজি দুধ সংগ্রহ করছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল-বিকাল দুবার গোয়াল গাভীগুলো দহন করে দুধ সংগ্রহ করে থাকেন। পাইকারিভাবে গোয়ালারা প্রতি কেজি ৪০ টাকা হারে দুধ কিনে থাকেন। বর্তমানে দুধের বিক্রি মূল্য প্রায় ৫ হাজার টাকা।

গরুগুলোকে প্রতিদিন ভুসি, চালের গুঁড়া, খুদের ভাত, নেপিয়ার ঘাস, খেসারি ডালের গুঁড়া এবং খড় ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। প্রায় ৩০টি গরুকে খাওয়াতে প্রতিদিন খরচ হয় প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে তার দেড় থেকে দুই হাজার টাকা মুনাফা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম নুরুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ ধরনের যে কোনো খামারে সরকারের সব ধরনের সুযোগ দিতে প্রস্তুত পশু সম্পদ বিভাগ। এ ধরনের সফলতা দেখে অনেক বেকার যুবক এগিয়ে আসবে এবং নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

 

 

সর্বশেষ খবর