শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

ঘুমন্ত আওয়ামী লীগ কর্মীর রগ কেটে হত্যা

সাতক্ষীরায় ঘুমন্ত আওয়ামী লীগ কর্মী এজহার আলী মোড়লকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে জামায়াত-শিবির। এ সময় তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলি্ল আমতলা গ্রামের অজিয়ার মোড়লের ছেলে। গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবির এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী। 
নিহতের স্ত্রী নিলুফা বেগম ও ছেলে ইসমাইল হোসেন মোড়ল জানান, তার পিতা এজহার আলী মোড়ল (৪৫) একজন মুদির দোকানদার ও কাঠ ব্যবসায়ী। রাতে তিনি বাড়ি-সংলগ্ন দোকানে ঘুমিয়েছিলেন। রাত দেড়টার দিকে ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। পরে পার্শ্ববর্তী একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে গতকাল সকাল ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে এজহার আলী খুনিদের চিনতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার। নিহত এজহার আলী মোড়ল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বলে দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন। নিহতের স্ত্রী নিলুফা বেগম ও ছেলে ইসমাইল হোসেনের অভিযোগ, স্থানীয় জামায়াত নেতা আবুল খায়ের ও তার সহোদর কাশেম মোড়ল এবং শিপলু হাজী, মিজানুর রহমান, মুনসুর মোড়ল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করে। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ জানান, জমি-সংক্রান্ত বিরোধে একজন ঘুমন্ত মানুষকে ডেকে তুলে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়ে হত্যা করতে হবে এটা কখনো হতে পারে না। মূলত আওয়ামী লীগ করার কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি ইনামুল হক জানান, প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে এজহার আলীর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা। তার ছেলে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয় মিজানুর রহমান, আবুল খায়ের, মুনছুর মোড়লসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর