শিরোনাম
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

বাণিজ্য মেলা শুরু আজ

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কালো মেঘ কাটিয়ে আজ শুরু হচ্ছে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৪ (ডিআইটিএফ)। মেলার সাফল্য কামনা করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলার আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এবারের মেলায় পণ্যের প্রস্তুতকারক ও ক্রেতাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবে। এর ফলে নতুন নতুন পণ্য তৈরিতে উদ্যোক্তারা আগ্রহী হবেন। তা ছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশের বাজার সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। মেলার সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বোস। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা শুরু হলেও সংসদ নির্বাচনের কারণে গত ২৪ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেলার উদ্বোধন ১০ দিন পিছিয়ে দেয়।

ইপিবি জানিয়েছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় ৪৮৪টি স্টল থাকছে। এর মধ্যে ৯২টি সাধারণ, প্রিমিয়ার ও বিদেশি প্যাভিলিয়ন, ৪৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন, স্টল ৩২৯টি এবং রেস্তো ১০টি। এবারও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়নের পাশাপাশি সুন্দরবন ইকোপার্কসহ সরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে। মেলায় প্রবেশের ফটকটি হবে কার্জন হলের আদলে।

মেলার নিরাপত্তার জন্য এবার পুলিশ, আনসার ও র‌্যাবের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, বিজিবি ও বেসরকারি নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা থাকবেন। এ ছাড়া ৮টি ওয়াচ টাওয়ারে পুলিশ থাকবে। প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩০ ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পণ্য উন্নয়ন ও বহুমুখীকরণসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি পণ্যের বিপুল সমাহার ঘটে। দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশি পণ্য এবং বিদেশি ক্রেতাদের রুচি, মান, চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারেন। এর ফলে রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ ও মান উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

প্রবেশে পুলিশের নির্দেশনা : যেসব দর্শনার্থী যানবাহন নিয়ে ধানমন্ডি-নিউমার্কেটের দিক থেকে মিরপুর রোড ব্যবহার করে মেলায় আসবেন, তারা রেসিডেনশিয়াল কলেজের বিপরীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার রাস্তা ব্যবহার করে গণভবন হাইস্কুল ক্রসিং হয়ে প্রবেশ করবেন। যেসব দর্শনার্থী যানবাহন নিয়ে গাবতলী, মোহাম্মদপুর ও আশপাশ এলাকা থেকে আসবেন, তারা শিশুমেলা ক্রসিং হয়ে শ্যামলী-আগারগাঁও লিংক রোড ব্যবহার করে শেরেবাংলা আদর্শ মহিলা কলেজ গেট দিয়ে প্রবেশ করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে সরকারি কলোনি মাঠে গাড়ি পার্ক করে প্রবেশ করতে পারবেন। যারা পল্লবী-কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া ও আশপাশ এলাকা থেকে মেলায় আসবেন, তারা আগারগাঁও লাইট ক্রসিং ডানে মোড় নিয়ে শ্যামলী-আগারগাঁও লিংক রোড ব্যবহার করে শেরেবাংলা আদর্শ মহিলা কলেজ গেট হয়ে আগারগাঁও কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীত কলোনি মাঠে গাড়ি পার্ক করে প্রবেশ করবেন। যেসব দর্শনার্থী যানবাহন নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে আসবেন, তারা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে মেলায় প্রবেশ করবেন।

এ ছাড়া মেলা চলাকালে সরকারি ছুটির দিন খামারবাড়ি খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে আগারগাঁও লাইট ক্রসিং পর্যন্ত রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়িসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে নির্দিষ্ট 'ফি'র বিনিময়ে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে এবং যানবাহন নিয়ে আগত সবাইকে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক নির্দেশিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সব মোটরসাইকেল নির্দিষ্ট 'ফি'র বিনিময়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সামনে নির্ধারিত স্থানে পার্ক করা যাবে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের সুবিধার্থে শুক্র ও শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনে আগারগাঁও লিংক রোড (নতুন সড়ক) ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ক্রসিং হয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করা যাবে না। ওই সড়ক ব্যবহারকারীদের আগারগাঁও লাইট ক্রসিং হয়ে মেলায় প্রবেশ করতে হবে।

বহির্গমন : মেলার ১ নম্বর পার্কিং থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে পিডব্লিউডি ক্রসিং হয়ে শেরেবাংলানগর শিক্ষা প্রকৌশল ভবন ডানে মোড় নিয়ে বেগম রোকেয়া সরণি হয়ে বের হতে হবে। মেলার ২ নম্বর পার্কিং থেকে বের হওয়ার সময় গণভবন স্কুল ক্রসিং, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ সড়ক হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দক্ষিণ পাশ দিয়ে মিরপুর রোড হয়ে বের হতে হবে। মেলার ৩ নম্বর পার্কিং থেকে বের হওয়ার সময় শ্যামলী-আগারগাঁও লিংক রোড হয়ে মিরপুর রোড ও বেগম রোকেয়া সরণি উভয় রাস্তা ব্যবহার করে বের হতে হবে।

পার্কিং স্থান : ১ নম্বর পার্কিং ডিআইটিএফ-২০১৪-এর ভিআইপি গেট থেকে প্রধান গেট পর্যন্ত খালি জায়গা; ২ নম্বর পার্কিং ডিআইটিএফ-২০১৪-এর ২ নম্বর গেটসংলগ্ন খালি জায়গা; ৩ নম্বর পার্কিং আগারগাঁও কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীত কলোনি মাঠে; মোটরসাইকেল পার্কিং বিআইসিসির পাশে মেলা ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সামনে ফাঁকা জায়গা।

বিকল্প পার্কিং : সরকারি ছুটির দিনে গণভবন হাইস্কুল মাঠের ভেতর।

 

 

সর্বশেষ খবর