শিরোনাম
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

নিখোঁজের ১৩ দিন পর দুলালের লাশ উদ্ধার

পারিবারিক কলহের জের ধরে নিখোঁজ হওয়ার ১৩ দিন পর গতকাল মো. দুলাল হোসেনের লাশ তার শ্বশুরবাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী পারুল বেগমের বসতঘর ও রান্নাঘরে অগি্নসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এদিকে, পারুল বেগমকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. দুলাল হোসেন ৫ সন্তানের জনক। ১ম স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে তিনি সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের সওদাগরবাড়ির পারুল বেগমকে ৩ মাস পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে দুলাল নিখোঁজ হয়। দুই স্ত্রী ও পরিবার খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে সদর থানায় জিডি করেন। গতকাল ভোরে পারুল বেগমের বসতঘর সংলগ্ন পুকুরে তার এক প্রতিবেশী বস্তাবন্দী লাশ দেখে চিৎকার দেয়। এলাকাবাসী দুলালের লাশ শনাক্ত করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আসার আগেই স্বামী হত্যার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা পারুলের বসত ও রান্নাঘর পুড়িয়ে দেয় এবং পারুল বেগমকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। বাড়ির লোকজন জানান, পারুল তার পূর্বের স্বামী আবদুল মতিনকে খুনের দায়ে কারাভোগ করেছিল। দুলালের ১ম স্ত্রী মাজিয়া বেগম স্বামী হত্যার ঘটনায় পারুলকে দায়ী করে বিচার দাবি করেছেন।

সর্বশেষ খবর