বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

হেরে গেলেন যৌতুকের আগুনে দগ্ধ খাদিজা

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বংকুরা গ্রামে যৌতুকের জন্য ঘুমন্ত অবস্থায় গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুনে ঝলসানো গৃহবধূ খাদিজা বেগম (২৩) মারা গেছে। গতকাল বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। খাদিজা নওয়াপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।

এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ঝালকাঠিতে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহবধূর নিকটাত্দীয় আবুল কালাম আজাদ। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত ঘটনার মূল হোতা মিজানুর রহমানের মেয়ে জামাই দেলোয়ার শরীফ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। মামলায় তাকে পুলিশ আসামিও করেনি বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বংকুড়া গ্রামে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ফরিদ হোসেনের (২৮) স্ত্রী খাদিজা বেগমের গায়ে আগুন দেয় তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় সে দিগ্বিদিক ছোটাছুটির পরে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিন বছর আগে ফরিদের সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মারধর করা হতো। এমনকি তাকে বাবার বাড়িতেও যেতে দেওয়া হতো না।

ওই ঘটনায় পুলিশ গভীর রাতে গৃহবধূর স্বামী ফরিদ হোসেন (২৮) ও ভাসুর মিজানুর রহমানকে আটক করেছে। আটককৃতরা ওই গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। গৃহবধূকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসা দিয়ে গভীর রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরদিন গৃহবধূর বাবা নজরুল ইসলাম ঝালকাঠি সদর থানায় স্বামীসহ তিনজনকে আসামি করে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, গৃহবধূর শরীরের প্রায় ৬৫-৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় আশঙ্কাজনক ছিল। ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিলামনি চাকমা জানান, এ ঘটনায় স্বামী ও তার বড় ভাই গ্রেফতার আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর