শনিবার, ১০ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন

নেপথ্যে বেসরকারি সংস্থা যুবকের টাকা গ্রেফতার ৭

রাজধানীর কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শেখ মনিম ফয়েজ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন একজন নারী। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে না পারলেও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করেছে লাশ গুম করার কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও একটি অ্যাম্বুলেন্স। পুলিশ জানায়, বেসরকারি সংস্থা 'যুবক'-এর টাকা লেনদেনসংক্রান্ত ঘটনা কেন্দ্র করে খুন হন ফয়েজ। মূল পরিকল্পনাকারী ওই নারী যুবকে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিবির (ডিসি-পশ্চিম) কৃষ্ণপদ রায়। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের দুই মেয়ে তাসমিয়া ফয়েজ সিনহা (৭) ও তানজিয়া ফয়েজ সামিয়াসহ (৩) স্ত্রী ফারহানা উপস্থিত ছিলেন। ফারহানা জানান, ফয়েজ সর্বশেষ ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। এর আগে তিনি যুবকের পরিচালক ছিলেন। কৃষ্ণপদ রায় জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলেন কাজী সিরাজ, শাকিল খান, জাহিদ হাসান ওরফে সিজান, নবীন হোসেন, প্রাইভেট কার চালক ফরিদ, অ্যাম্বুলেন্স চালক মোস্তফা ও তার সহকারী ইমরান হোসেন। তারা খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী একজন নারী পলাতক রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তিনি ওই নারীর নাম বলেননি। 'যুবক'-এ যারা টাকা বিনিয়োগ করেছেন তাদের অনেক ক্ষোভ ছিল। পলাতক নারী তাদের মধ্যে একজন। কৃষ্ণপদ রায় আরও জানান, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ফয়েজকে ধরে এনে আটক করে কৌশলে মুক্তিপণের মাধ্যমে টাকা আদায়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ এপ্রিল তারা ফয়েজকে ওই নারীর হাজারীবাগ বাসায় ডেকে নেন। সেখানে তাদের সঙ্গে ফয়েজের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে শাকিল, জাহিদ ও নবীন তার হাত-পা বেঁধে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে নবীনদের কামরাঙ্গীরচরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ফয়েজকে মেরে ফেলেন। পরে প্রথমে প্রাইভেট কার, এরপর অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ওই বাসা থেকে গুমের জন্য লাশ সরিয়ে নিয়ে যান। গাজীপুর বর্ষা সিনেমা হলের কাছে পেঁৗছালে তারা লাশটি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে পড়েন। এরপর লাশটি পাশের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান। এর আগে ৫ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডে রূপসা কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানের দাওয়াত খেয়ে ফয়েজ বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। ৬ এপ্রিল তার লাশ গাজীপুর চৌরাস্তার বর্ষা সিনেমা হলের সামনে পাওয়া যায়।

অজ্ঞান পার্টির নয় সদস্য গ্রেফতার : এদিকে, মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টি চক্রের মূল হোতা মিন্টু শিকদারসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতার অন্যরা হলেন আবদুল মান্নান, রফিজ শিকদার, মাসুম দেওয়ান, শফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মানিক শেখ, ফারুক হোসেন ও নুরুজ্জামান। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি চোরাই মোবাইল ফোন সেট, অজ্ঞানের কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধ মলম ও অন্যান্য দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ডিবির এসি (পশ্চিম) মাহমুদ নাসের জনি অভিযান পরিচালনা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর