শিরোনাম
বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা
প্লট জালিয়াতির তিন মামলা

দুদকে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন সাবেক পূর্ত সচিব শওকতের

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকের প্লট জালিয়াতির তিন মামলার আসামি প্রবাসীকল্যাণ সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। গতকাল দুদক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যক্তিগত শুনানির জন্য সচিব ড. শওকত হোসেন এ আবেদন করেন। গতকাল আবেদনপত্রটি তিনি দুদক সদর দফতরে জমা দেন। এদিকে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় তদন্ত প্রতিবেদন দুই দিন আগে দুদকে জমা দেন। যে কোনো দিন দুদকের সংশ্লিষ্ট দফতরে তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুমোদনের পর আদালতে জমা হবে। জানা গেছে, প্লট জালিয়াতির তিন মামলায় আসামি শুধু সাবেক পূর্ত সচিব শওকত হোসেন হলেও তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়ায় আসামি যুক্ত হচ্ছেন সাতজন। এর মধ্যে শওকতের  মা জাকিয়া আমজাদ, স্ত্রী আয়েশা খানম, অতিরিক্ত পূর্ত সচিব আতাউল হক মোল্লা, তার স্ত্রী কামরুন নাহার ঝর্ণা, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মুসা, রাজউকের উপ-পরিচালক শেখ হাফিজুর রহমান, উচ্চমান সহকারী সাইদুল ইসলামের নাম থাকছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজউকের তিনটি প্লটের আকার বেআইনিভাবে  পরিবর্তনের ঘটনায় ২২ এপ্রিল প্রবাসীকল্যাণ সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় এ মামলাগুলো তদন্ত করছেন। দুদক তদন্ত সূত্র জানায়, শওকত হোসেন উত্তরা প্রকল্পে সেক্টর-১৭/বি, রোড-৪/এ ৩ কাঠার পরিবর্তে ৫ কাঠা বরাদ্দ নিয়ে তা থেকে ২ কাঠা উপহার দেন তৎকালীন রাজউক সচিব আতাউল হক মোল্লাকে। শওকত হোসেন আতাউল হকের স্ত্রীর বড় বোন সুরাইয়ার নামে ২ কাঠা ‘ক্রয়’ দেখান। পরে বোনের কাছ থেকে ছোট বোন ঝর্ণাকে ‘হেবা’ দেখান। যা এখন ভোগদখল করছেন আতাউল হক নিজেই। এ কারণে শওকতের সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে যাচ্ছেন আতাউল হকের স্ত্রী। এ ছাড়া তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ড. শওকত হোসেন দুদক আইনের ২২ ধারা উল্লেখ করে ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ নিয়েছেন।



 

সর্বশেষ খবর