রবিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

২০০ সোনার বার লাপাত্তা!

শাহজালালে ক্লিনারসহ আটক ৩

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২০০ পিস সোনার বার লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিমানের ক্লিনারসহ তিনজনকে আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। তারা হলেন বিমানের ক্লিনার মুরাদ হোসেন, মুন কনস্ট্রাকশনের কর্মচারী সাইদুর রহমান ও প্রাইভেট কার চালক রিয়াজ উদ্দিন। শুক্রবার তাদের বিমানবন্দরের ক্যানোপি এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ সময় একটি প্রাইভেট কারও উদ্ধার করা হয়। তবে পাচার হওয়া সোনার বার উদ্ধার করতে পারেননি গোয়েন্দারা। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট (কিউআর-৬৩২) ঢাকায় অবতরণ করে। খবর ছিল বিমান থেকে কমপক্ষে ২০০ সোনার বার অবৈধভাবে আনা হয়েছে। খবর পেয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সেখানে অভিযান চালায়। কিন্তু একটি চক্র কৌশলে সোনার বারগুলো পাচার করে। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কাতার এয়ারলাইনসের একটি বিমানে যাত্রীর জুতার ভিতর ২০০ পিস সোনার বার আনা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টায় ওই যাত্রীর দেহ তল্লাশি করা হয়। তবে তার কাছে কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর বিমানের ক্লিনার মুরাদকে আটক করা হয়। তিনি সোনা চোরাচালানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে প্রাইভেট কার চালক রিয়াজ উদ্দিনকে আটক করা হলে তিনি সোনা চোরাচালানের বিষয়টি স্বীকার করেন। রিয়াজ আরও জানান, কয়েকজন অবৈধভাবে সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে বারগুলো নিয়ে চলে গেছেন।’ এদিকে, গতকাল বিমানবন্দর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন উপ-প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ। তার উপস্থিতিতে সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তা পাস (ডি পাস) ব্যবহার না করে কীভাবে ওই তিনজন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করেছেন, তা নিয়েও বিমানবন্দরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঠিকাদার মুন কনস্ট্রাকশনের মালিক জাফরের কর্মচারী সাঈদুর রহমানকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করে বলেন, সোনা পাচারের উদ্দেশ্যেই তারা অবৈধভাবে বিমানবন্দর রানওয়েতে প্রবেশ করেন। সাঈদুর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস সেন্টারে অবস্থিত উডেন ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন। তার মালিক জাফর ও নাইম নামের একজন ব্যবসায়ী সোনা পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে নাঈমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জাফরকে চিনি না। তা ছাড়া গোয়েন্দারা আমার নামে মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন।’ তবে জাফরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর