শনিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

মাদক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক নেতারা

মাদক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক নেতারা

রাজনৈতিক নেতারাই নিয়ন্ত্রণ করছেন মাদক বাণিজ্য। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে মহানগর, জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড এমনকি ইউনিট পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী-সমর্থক সরাসরি মাদক কেনাবেচা করছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের কাউন্সিলর থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও মাদক কেনাবেচাসহ সরবরাহ কাজে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকা, এমনকি গ্রাম-পাড়া-মহল্লা পর্যায়েও মাদকের সরবরাহ, কেনাবেচা চলছেই। সর্বনাশা নেশা ইয়াবার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া টেকনাফের (কক্সবাজার) সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি গ্রেফতার বরণসহ জেলহাজতও ঘুরে এসেছেন।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী কক্সবাজার এলাকায় ইয়াবার কারবারে যুক্তদের তালিকায় সরকারি দলের এমপি আবদুর রহমান বদিই শুধু নয়, তার আপন দুই ভাই ও দুই সৎ ভাইয়ের নামও রয়েছে। ইয়াবা পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত টেকনাফ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও আবদুর রহমান বদির এপিএস জাহেদ হোসেন জাকু ইতিমধ্যে ক্রসফায়ারে নিহত হয়। টেকনাফ ছাড়া যশোরের সীমান্ত এলাকায়ও মাদক পাচারের সঙ্গে স্থানীয় এক এমপি এবং চৌগাছার এক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার নাম উঠে এসেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে হেরোইন কারবারে এগিয়ে আছে পৌর আওয়ামী লীগ নেতার ভাই-ভাতিজার গ্রুপ। ওমর আলী গ্রুপ, আবদুল মালেক গ্রুপ, জহুরুল গ্রুপ এমন নানা নামের নানা গ্রুপ মাদক বাণিজ্যে সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে। মাদক বাণিজ্যে কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষস্থান দখল করে আছে। কুমিল্লা জেলায় প্রতি মাসে ২০০ কোটি টাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন আটজন প্রভাবশালী নেতা। মাদক বাণিজ্যের লাভ-ক্ষতি লেনদেনের ক্ষেত্রে সরকারদলীয়, বিরোধীদলীয় নেতাদের চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে। সীমান্ত গলিয়ে মাদকদ্রব্যাদি আমদানি, সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিঘ্নে সরবরাহ করাসহ পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচা পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন। উখিয়া সীমান্তের করইবনিয়া, ডেইল পাড়া, দরগাহ বিল, হাতিমোরা, আছারতলী, বালুখালী, কুতুপালং কচুবনিয়া, ধামনখালী, ঘুমধুম, পালংখালী, আনজুমান পাড়া ও নাফ নদী সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে প্রতিনিয়ত বানের স্রোতের মতো দেশে প্রবেশ করছে ইয়াবার চালান। স্থানীয় রাজনীতিবিদরা সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় চোরাচালানিরা দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চোরাচালান দমনে প্রশাসনের চাপে গুটিকয়েক চুনোপুটি ধরা পড়লেও রাঘববোয়ালরা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।  কুমিল্লা থেকে দেশের অভ্যন্তরে অন্তত ১০টি জেলায় সরাসরি মাদক সরবরাহ করা হয়। কক্সবাজার, কুমিল্লা, যশোরসহ ২০টি সীমান্ত জেলাতেই অভিন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। সর্বত্রই জেলার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাদক বাণিজ্য পরিচালনা করে চলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পৃথক পৃথক মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাতেও রাজনৈতিক নেতাদের নাম উঠে এসেছে। থানা পর্যায়ের তালিকাতেও শীর্ষ পাঁচজনই হচ্ছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ধরনের ধরপাকড়ের ক্ষেত্রেও প্রথম পাঁচ/সাত জনকে বাদ রেখেই চালানো হয় সব ধরনের অভিযান।  কুমিল্লা মহানগরীসহ পাশের এলাকার অলিগলিতে কোথাও প্রকাশ্যে, আবার কোথাও গোপনে চলছে মাদক বাণিজ্য। এসব এলাকার অধিকাংশ অলিগলি এখন মাদকের হাটবাজারে পরিণত হয়েছে। সীমান্তের এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে মাদক ব্যবসায়ীরা এত শক্তিশালী যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে হামলার শিকার হয়। সদর দক্ষিণ উপজেলা সীমান্তের ব্যবসায়ীরা বেশি শক্তিশালী। মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা এক থাকলেও সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় পৃষ্ঠপোষক। কুমিল্লার রাজনীতিতে টেন্ডারবাজির পরেই মাদকের টাকা ব্যবহার হয়ে আসছে। তারপর রয়েছে গোমতী নদীর মাটি ও বালু ব্যবসার টাকা। প্রভাবশালী মধ্যমসারির নেতারা সরাসরি মাদকের ব্যবসার দেখভাল করছেন। ছাত্রলীগের খুলনা মহানগর ও উপজেলা কমিটির অন্তত ১১ জন শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের ভেতর থেকেই। তাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন আরও নেতা-কর্মী। কেবল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, ছাত্রলীগের বিবদমান নেতারাই পরস্পরের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলছেন, সংবাদ সম্মেলনও করছেন। কেবল মহানগর নয়, খুলনার ৩১টি ওয়ার্ড, পাঁচটি উপজেলা ও ১৩টি কলেজ কমিটির নেতাদের বেশির ভাগেরই ছাত্রত্ব নেই। মূলত এই নেতাদের বিরুদ্ধেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। তাছাড়া খুলনার যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও মাদকবাণিজ্য পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলনা মহানগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কতিপয় ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে মাদক ব্যবসা করেন।
রাজধানীর যত মাদক ব্যবসায়ী : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীতে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হয়। এতে পেশাদার হিসেবে সাড়ে তিন হাজার মাদক ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ থাকলেও তার মধ্যে অন্তত ৭০০ জনই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী রয়েছে। এ ছাড়া ১২শ’ জন রয়েছে দাগী আসামি। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ছত্রচ্ছায়ায় ও নেতৃত্বে মাদক বাণিজ্যসহ সীমান্তের চোরাচালান অব্যাহত থাকায় সর্বত্রই আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে। ঢাকা মহানগর মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষমতাধর ব্যক্তি এবং সরকারি দলের লোকজনের মদদে অনেক স্থানে মাদক ব্যবসা চলছে। এ কারণে অনেক সময় মাদকবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে দাবি তাদের। সূত্র জানায়, মতিঝিলের ক্লাবগুলোতে জুয়ার পাশাপাশি এখন মাদকের আখড়া বসছে রাজধানীর এক যুবলীগ নেতার প্রত্যক্ষ মদদে। রমনা ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় টুটুল ও মিঠু ইয়াবা ও ফেনসিডিলের ব্যবসা করে কেন্দ্রীয় এক ছাত্রলীগ নেতার সহযোগিতায়। সেগুনবাগিচায় ফরিদপুর ম্যানশনের ওপর রিপন নামে কথিত ছাত্রলীগ নেতার মাদকের আসর চলছে। গুলশানে সি-সেল বারের ওপর মিনিবার চলছে রফিক নামের এক কথিত ছাত্রলীগ নেতার মাধ্যমে। গুলশানের ৪৩ নম্বর রোডসহ কয়েকটি এলাকায় অনুমোদনহীন বার চলছে এক মন্ত্রীর ছেলের নামে। ভাটারা থানার বিভিন্ন স্থানে শাহীন, ওসমান, ফরহাদ, আল-আমিন, রুবেল, গুজা জাহাঙ্গীর, হালিম, খিলবাড়ীর টেকে আওলাদ, মামুন, তুষার, বিল্লাল, জামাই হবি, ইউসুফসহ ২০/২২ জন মাদক ব্যবসা চালায় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পরিচয়ে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ওষুধ বাণিজ্যের আড়ালে বিপুল পরিমাণ রেকটিফাইড স্পিরিট বা বাংলা মদ বাজারে ছাড়া হচ্ছে অহরহ। মোহাম্মদপুরে ইয়াবার ডিলার জিপু গড়ে তুলেছেন ইয়াবার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। কক্সবাজারের এমপি বদির আÍীয় বলে পরিচতি কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা সবুজের কাছে আসে ইয়াবার বড় বড় চালান। পল্লবীর গডফাদার বাচ্চু পুরো এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার বাসিন্দা ও আনন্দবাজার বস্তি এলাকার কোটিপতি হোরোইন বিক্রেতা সৈয়দ আলীও নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সম্প্রতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন। স্ত্রী তারা বানুও তার হেরোইন ব্যবসার দোসর। খিলগাঁও এলাকার একটি বড় অংশজুড়ে ইয়াবার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক নেতা। সবুজবাগের বৌদ্ধমন্দির এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় আরেক ছাত্রলীগ নেতা। মতিঝিল এলাকার ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন শ্রমিক লীগের নেতা আজাদ।
শুধু সরকারি দলের নেতারাই নয়... : মাদক বাণিজ্যে শুধু সরকারি দলের নেতা-কর্মীরাই নন, বিরোধী দলের নেতারাও অনেক স্থানেই মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে চলছেন। সীমান্তবর্তী এলাকায় সরকার দলীয় এমপি ও তার ভাই ভাতিজারা ইয়াবার আমদানি ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করলেও ঢাকায় ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন বিএনপি নেতা আমির হোসেন। রাজধানীর একটি থানা কমিটির সেক্রেটারি আমির হোসেন এখনো মাদক সাম্রাজ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছেন। মাত্র সাত বছর আগেও পরিবহনের লাইনম্যান হিসেবে রাস্তায় লাঠি হাতে হাতে ঘুরে বেড়ানো আমির রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। গুলিস্তান এলাকার সবচেয়ে বড় মাদক সাম্রাজ্য পরিচালিত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে, রাজধানী হোটেল সংলগ্ন সেলাই মেশিন গলিতে। এক সময় বিএনপিপন্থি হকার্স সংগঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় ঠাঁই নেওয়া আমির হোসেন আমির এখন ইয়াবা সম্রাট হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ৫ জন প্রধান বিক্রেতাসহ ৩০ জন সেলসম্যান আর ৮/১০ জন দেহরক্ষীর সমন্বয়ে আলাদা বাহিনী গড়ে উঠেছে তার। আমির হোসেনের দলবল প্রতিদিন প্রায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ১০ সহস্রাধিক ইয়াবা কেনাবেচা করে। ইদানীং টেকনাফ থেকে লবণের ট্রলারে আমিরের ইয়াবার চালান আসে মাওয়াঘাট ও সিদ্ধিরগঞ্জ ঘাটে। সেখান থেকেই ঢাকায় সরবরাহ দেওয়া হয়। আমিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড মানিক ও জুতা ব্যবসায়ী জুয়েল। বংশাল এলাকার মূল ডিলার তানভীর। যাত্রাবাড়ী এলাকায় রতন। গুলিস্তানের স্থানীয় ডিলার কালা ফারুক। ঢাবি এলাকায় শরীফ ও এরশাদ। কমিশন ছাড়াও একেকজন ডিলার প্রতিদিন সম্মানী হিসেবে ৫০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড-কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গুদাম আছে তার। নিজের বাসা হিরাঝিল আবাসিক এলাকাসহ আশপাশের দায়িত্বে রয়েছে হাসান নামে অন্যতম এক সহযোগী।
দৈনিক মাসোহারা তিন লাখ টাকা : ইয়াবা ব্যবসা নির্বিঘ্ন রাখতে আমির হোসেন ঘাটে ঘাটে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে থাকেন। থানা-পুলিশ, সিটি এসবি, ডিবি থেকে শুরু করে কথিত সাংবাদিক, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি দল ও বিরোধী দলের চিহ্নিত নেতা, বিভিন্ন সমিতি-ক্লাব, স্থানীয় বড় ভাইদের দীর্ঘ তালিকা অনুযায়ী নিয়মিত মাসোহারা পৌঁছানো হয়। প্রতিদিন মাসোহারা প্রদান বাবদ গড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করেন তিনি। এ ছাড়াও মিছিল-মিটিংয়ে লোক দেওয়া, সরকারি দল, বিরোধী দলের বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমের প্যানাসাইন, বড় বড় ব্যানারও নিজ খরচেই করে দেন।  
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাঁজা, তামাক, ইয়াবা, ফেনসিডিল, হিরোইন, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য অহরহ বেচাকেনা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাবেক এবং বর্তমান রাজনৈতিক নেতা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। ঢাকার প্রতিটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছাত্রলীগ নেতাদের নামে ও তত্ত্বাবধানে মাদকের বেপরোয়া বাণিজ্য চলছে।

সর্বশেষ খবর