শনিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে লাইন মেরামত করছে ভারত

বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিটের জন্য ফেনী নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। ট্রানজিটের মাধ্যমে শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশও লাভবান হবে বলে জানান ভারতের ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী। এদিকে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ মন্ত্রী মানিক দে জানান, চট্টগ্রামের ফেনী ও ত্রিপুরার সাবব্রুম সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে ব্রিজ নির্মাণে যৌথ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। ফেনী নদীর উপর উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন হলে স্থল পথে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা পাবে ভারত। এতে দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গতকাল ত্রিপুরা সরকারের সচিবালয়ে মতবিনিময় সভায় শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী তপন চক্রবর্তী এসব কথা জানান। এদিকে, ত্রিপুরার বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ মন্ত্রী মানিক দে জানান, ২০১৬ সাল নাগাদ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলে বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্ভাবনা রয়েছে। ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ গ্রিড লাইন তৈরি করবে। এ প্রকল্পের টেন্ডার হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়ে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।  ট্রানজিটের জন্য আরও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করা প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেল যোগাযোগ বাড়াতে হবে। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ত্রিপুরা সীমান্তে রেল যোগাযোগের কাজ চলছে। কুমিল্লার গঙ্গা সাগর এলাকায় স্টেশন হবে। এটি আগরতলা-আখাউড়া হয়ে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপিত হবে। এতে উভয় দেশের বাণিজ্যিক (আমদানি-রপ্তানি) সুবিধা বাড়বে। একই সঙ্গে যাত্রীসেবার মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হবে। আমরা চাই দ্রুত রেল যোগাযোগ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এক সময় বার্ষিক বাণিজ্য হত চার থেকে সাড়ে চার কোটি টাকার। বর্তমানে তা বেড়ে ৩০০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে আমরা ৮টি বর্ডার হাট চালু করতে যাচ্ছি। সম্প্রতি একটি চালু হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে। দুই মন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ে চট্টগ্রামের সাংবাদিক প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, চ্যানেল নাইনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এজাজ মাহমুদ, দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ আলী, দৈনিক আজাদীর সিনিয়র রিপোর্টার শুকলাল দাশ, দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার প্রণব বল, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার লোকমান চৌধুরী, সময় টিভির হাজেরা শিউলী, চ্যানেল ২৪’র এমদাদুল হক, সুপ্রভাত বাংলাদেশের ভূঁইয়া নজরুল প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর