শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা
কুমিল্লায় মেডিকেল ছাত্রী খুন

ক্যামব্রিয়ানে ফের শিক্ষার্থীর লাশ

রাজধানীর ক্যামব্রিয়ান কলেজ হোস্টেলে আবারও শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার ও কুমিল্লায় মেডিকেল ছাত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ক্যামব্রিয়ান কলেজের হোস্টেল থেকে আবারও এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম জাহিদ নাঈম। সে ক্যামব্রিয়ানের পল্লবী শাখায় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। হোস্টেল রুমে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পল্লবী থানার পুলিশ।
পল্লবী থানার ওসি মোহাম্মদ দাদন ফকির জানান, গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই কে বা কারা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাসহ থানার ওসিকে রহস্যজনক এসএমএস পাঠিয়ে জানায়, ছেলেটি প্রেমঘটিত ব্যাপারে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। এসএমএস পাঠানো মোবাইলের নম্বর নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানানো হয়।
হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, একটা প্রেমঘটিত অভিযোগ তুলে গত কয়েকদিন ধরেই নাঈমের ওপর হোস্টেল শিক্ষকরা নানা রকম নির্যাতন চালাচ্ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, হোস্টেল শিক্ষকরা জাহিদ নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে একটি নির্জন কক্ষে আটকে রাখত এবং রাতে প্রায়ই আর্তনাদ শোনা যেত। নানা কায়দায় বর্বরতা চালানোর বিভিন্ন ক্ষতচিহ্ন রয়েছে ওই ছাত্রের দেহজুড়ে। তবে উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা ক্যামব্রিয়ান কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ‘মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যাজনিত’ মর্মে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।

মাত্র সাত মাস আগেই ক্যামব্রিয়ান স্কুলের ভাটারা শাখার হোস্টেলে সাইদুল ইসলাম নামের দ্বাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। এ নিয়ে অভিভাবকরা তুমুল আন্দোলন শুরু করলেও নানামুখী হুমকি-ধমকিতে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
মেডিকেল ছাত্রীকে গলাটিপে হত্যা : কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ ছাত্রীকে স্বামীর বাড়িতে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ গতকাল রাত ১০টার দিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত উম্মে আয়মান স্বর্ণা (২০) কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে একই গ্রামের ডা. এম এ খালেকের মেয়ে।
স্বর্ণার বড় ভাই খোরশেদ আলম জানান, প্রায় এক বছর আগে সে শশীদল গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে মো. ইমনকে (২৬) নিজ পছন্দে বিয়ে করে। এ কারণে তারা অভিমান করে স্বর্ণার খোঁজখবর কম রাখতেন। গতকাল সন্ধ্যায় তারা শুনতে পান তাকে গলাটিপে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গিয়ে দেখেন তার গলায় লাল দাগ রয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।      
ঘটনাস্থলে যাওয়া ব্রাহ্মণপাড়া থানার এসআই ফরহাদ হোসেন জানান, স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। এখনো মামলা হয়নি।

সর্বশেষ খবর