বরগুনা সদর উপজেলার লেমুয়া গ্রামে শনিবার রাতে নিজের দুই শিশুকন্যাকে বিষ খাইয়ে রোজী আক্তার নিজেও বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা লড়াইয়ের পর দুই শিশুকন্যা মৌমি (৪) ও তায়েবাসহ (২) তার মৃত্যু হয়। রোজী তার স্বামী রোমান পঞ্চায়েতকে মাদকসেবন ও পরকীয়া থেকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে দুই কন্যাসন্তানসহ মৃত্যুর এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে তার পরিবারের দাবি। শনিবার রাত ৯টায় এ ঘটনার পর তিনজনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশু দুটি মারা যায়। মা রোজী আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। রোজীর ভাই মহসিন হোসেন সোহাগ বলেন, তার ভগ্নিপতি রোমান পঞ্চায়েত মাদকাসক্ত থাকায় বোন তাকে ফেরানোর চেষ্টা করে। এতে বিভিন্ন সময় বোনের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাত রোমান। এ ছাড়াও রোমান পরকীয়ায় জড়িত হলে রোজী তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে।
তার বোন ও ভাগ্নিদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে সোহাগ অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে রোমানের বড় ভাই হেলাল পঞ্চায়েত বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। কিন্তু কাউকে কখনোই এ বিষয়ে কিছু বলেনি। আমি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানি না। মর্মান্তিক এ ঘটনায় বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ঘটনায় বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ হোসেন পিপিএম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে রোমান পঞ্চায়েত একজন মাদকাসক্ত ও পরকীয়ায় জড়িত। প্রায়ই তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। রোমানকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ বিষয়ে বরগুনা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।