বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
সংসদে প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গি নির্মূলে দেশবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে দেশবাসীর সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকে এখানে এসেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী যে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি সেখানে প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি যারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের ধরিয়ে দেওয়া, আইনের হাতে সোপর্দ করা এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা উচিত বলেও উলে­খ করেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয়  সংসদের ৮ম অধিবেশনে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে হাজী মো. সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে সক্রিয় করতে প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি দেশবাসীকে বলব যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের ধরিয়ে দিন। আইনের হাতে সোপর্দ করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার জন্য আমরা যেমন পদক্ষেপ নিয়েছি, তেমনি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ নির্মূলে সব পদক্ষেপ নেব। ছিটমহলের সন্ত্রাসী তালিকা দিন : বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের কাছে বিলুপ্ত ছিটমহলের সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তদের তথ্য ও তালিকা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ সহযোগিতা চান। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের উদ্দেশে বলেন, তথ্য দেন, তালিকা দেন কোথায় গেছে সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তরা।

এর আগে সংসদে সম্পূরক প্রশ্নে রওশন এরশাদ জানতে চান, বিলুপ্ত ছিটমহলে সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তরা আশ্রয় নিত, সেখানে তারা ছিল। ছিটমহল বিলুপ্তির পর তারা এখন কোথায় গেল? কী অবস্থায় আছে। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি একটা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। দুর্বৃত্তরা কোথায় গেল? সেই উত্তর এই মুহূর্তে আমি দিতে পারছি না। উনার কাছে যদি কোনো তালিকা থাকে তাহলে আমাকে দিলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারব। আমরা ছিটমহলবাসীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চাই না, মূল ভ‚খণ্ডের অংশ হিসেবেই রাখতে চাই। ছিটমহলবাসীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা করব।

একজন সদস্য বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পঠিত বলে গণ্য করা যায় কি না? এটা করতে পারলে আমরা অনেকেই সম্পূরক প্রশ্ন করার সুযোগ পাব। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ভেবে দেখবেন একটু।

এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে আমি যে দীর্ঘ প্রশ্নের উত্তর দেই, আমার ছাত্র জীবনেও আমি এত পড়ি নাই, স্কুলের পর আর এত বেশি পড়ি নাই, তবে বই পড়ি। তারপরেও আমি বলছি এই কারণে সংসদে দীর্ঘ উত্তর দেই যাতে দেশবাসী এবং এই সংসদ জানতে পারে আমরা মানুষের কল্যাণে কী কাজ করছি। তাই পঠিত না করে প্রশ্নোত্তরগুলো সংসদে পড়ি।

সর্বশেষ খবর