শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রামপুরায় যুবলীগ ছাত্রলীগ গোলাগুলি

রাজশাহীতে কর্মীদের পিটুনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে হরতালবিরোধী মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন যুবলীগ কর্মী সোয়েব উদ্দিন, জহিরউদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন, নিপু, আরিফ হোসেন ও ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম।

জানা গেছে, ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক  সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন তপু এবং যুবলীগ নেতা ও রামপুরার চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার মামলার অন্যতম আসামি বেলাল হোসেন কিসলু। তারা রামপুরাসহ ওই এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, হত্যাসহ সব অপকর্মের হোতা। তাদের বিরুদ্ধে রামপুরা, খিলগাঁও, রমনাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে ঢামেক হাসপাতালে আহত যুবলীগ কর্মীদের চিকিৎসা চলার সময় ওই ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ কর্মী সেলিমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার দুই সহযোগী সায়মন ও বাবুল। এ সময় ছাত্রলীগের ওই দুজনকে দেখতে পেয়ে সেখানে উপস্থিত যুবলীগ কর্মীরা হাসপাতালের ভেতরই তাদের মারধর করেন। এতে ছাত্রলীগ কর্মী সায়মন ও বাবুল আহত হন।

মুখে গামছা বেঁধে নিজ দলের নেতাকর্মীদের পেটাল ছাত্রলীগ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) নবাব আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিজ দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গামছা বেঁধে হামলা ও হলের কক্ষের দরজা ভেঙে লুটপাট করার অভিযোগ ওঠেছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, গত কমিটির (আহমেদ-বিপু) শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক নূর জাহিদ সরকার নিয়ন, লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নূর কুতুবুল আলম সবুজ, দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান আম্মান, ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নিশান চৌধুরী। তারা সবাই লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের আগের সভাপতি প্রার্থী শামীমের অনুসারী। হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, বুধবার রাতে লতিফ হলের ৩০১ নম্বর কক্ষে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নিয়ন, ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ ও আম্মানসহ কয়েকজন। পূর্ব শত্র“তার জের ধরে হল ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর ইসলামের অনুসারী ভাষা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নিরব, তৃতীয় বর্ষের নাজমুল, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সমীরণ কুমার মণ্ডলসহ ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী ৩০১ নম্বর কক্ষে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মুখে গামছা-রুমাল পেঁচিয়ে লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে ৩০১ নম্বর কক্ষে অবস্থান করা সবাইকে পেটাতে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে নিয়ন ও আম্মান পালিয়ে নিচ তলায় হলের পুলিশ কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নিলেও ছাত্রলীগের মুখোশধারীরা সবুজ ও নিশানকে লোহার রড-হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেটাতে থাকে।

সর্বশেষ খবর