শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পায়রা বন্দর নির্মাণে আগ্রহী ভারত

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প পায়রা সমুদ্রবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্ট চেয়েছে ভারত। দেশটি বলেছে, তারা রিপোর্ট পাওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ ওই অবকাঠামো নির্মাণে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দর নির্মাণে এ ধরনের আলোচনা হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান,  ভারতের দিক থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তাদের কেন্দ্রীয় সরকার সম্মত হলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে জি টু জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকারের যৌথ বিনিয়োগে প্রকল্পটি গড়ে তোলা হবে। সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে ভারত, চীন, নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের আগ্রহ থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হবে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নেই। এ লক্ষ্যে গত মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের পুরো অর্থই দেওয়া হবে সরকারি তহবিল থেকে। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র পরিসরে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু করার মতো অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে পায়রা বন্দরের যোগাযোগ স্থাপনে রজপাড়া পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬০ কিলোমিটার চার লেন সড়ক নির্মাণ, ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি সেতু নির্মাণ, বন্দরের জন্য ৬ হাজার ৬৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ১ লাখ বর্গফুট আয়তনের ওয়্যারহাউস নির্মাণ, রামনাবাদ থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার নৌপথ ড্রেজিংসহ বেশ কিছু প্রতিরক্ষামূলক কার্যক্রম।  নৌপরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পায়রা বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে ব্রিটেনের এইচআর ওয়েলিংফোর্ড। আগামী মাসে তাদের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ভারত ছাড়াও আগ্রহ প্রকাশ করেছে ডাচ (নেদারল্যান্ডস) সরকার। দেশটির অবকাঠামো ও পরিবেশ মন্ত্রী মেলানি স্কাল্টজ ভ্যান হেগেন সম্প্রতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের কাছে চিঠি লিখে আনুষ্ঠানিক এ প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি চীনেরও আগ্রহ রয়েছে। এরই মধ্যে চীনের একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্দরের অবকাঠামো গড়ে তুলতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে। ডেনমার্কের একটি কোম্পানিও বিনিয়োগ করতে চাইছে দেশের তৃতীয় এ সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর