শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তিনমাসে সাজা তিন সহস্রাধিক জরিমানা চার কোটি টাকা

মোবাইল কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন মাসে বিভিন্ন অপরাধের জন্য তিন হাজার ৪৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ সময় কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে চার কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার ৮২২ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধের জন্য মামলা হয়েছে ২ হাজার ৭২৪টি।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত তিন মাসে (আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে) ৯৬৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসনে সরাসরি নিয়োজিত ও বিভিন্ন সংস্থায় পদায়িত ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নিয়মিতভাবে এ আদালত পরিচালনা করেন। এই বিপুল সংখ্যক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর তফসিলভুক্ত ৯৭টি আইনের ও ১৫টি বিধিমালার আশ্রয় গ্রহণ করতে হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ, মোটরযান অধ্যাদেশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, বিএসটিআই অধ্যাদেশ, ইভ টিজিং রোধে দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৫০৯ ধারা ও বাল্যবিবাহ আইনে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধীনে র‌্যাব, রাজউক, ওয়াসা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, বিমানবন্দর, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফদর, সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও উপজেলায় কর্মরত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনাররা বিভিন্ন আইনে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ড ও জরিমানা করেন। গত মাসে ১১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৯৪টি মামলা আমলে নিয়ে ৮৭ জনকে কারাদণ্ড প্রদান এবং এক কোটি ১৯ লাখ ৬৩৮ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ১২৭টি অভিযানে ৫৪২টি মামলা করা হয়। এতে বিভিন্ন মেয়াদে ১৬১ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং এক কোটি ৫ লাখ ৩১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়। ঢাকার দোহার উপজেলার কর্মরত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুল করিম ভূঁইয়া জানান, অপরাধীদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিয়ে মোবাইল কোর্ট তার ভূমিকা পালন করছে। অপরাধীরা এখন মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমে অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে।  ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। এর ফলে অপরাধ প্রবণতা অনেক কমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর