শিরোনাম
শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কেরানীগঞ্জে ফোর মার্ডারে চার জনের ফাঁসি

আদালত প্রতিবেদক

ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঢাকার কেরানীগঞ্জে একই পরিবারের চারজনকে হত্যার ঘটনায় চার আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সুমন ওরফে ডাকু সুমন, জাকারিয়া হোসেন জনি, সুমন ওরফে সিএনজি সুমন ও মো. নাসিরউদ্দিন। এ ছাড়া অপরাধ প্রমাণিত  না হওয়ায় ডাকু সুমনের স্ত্রী আফসানা আক্তারকে অভিযোগের দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার বিচার চলাকালে বাদীপক্ষে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারক। পরে যুক্তিতর্ক শেষে মাত্র ২৪ কার্যদিবসের মধ্যে ১৬ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করা হয়। ফলে ১৬ মাস আগের চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, ‘এটি একটি মর্মান্তিক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এ মামলার বিচার পরিচালনাকালে আসামিদের আদালতে উপস্থিত করা হয়। কিন্তু আসামিদের চোখেমুখে অপরাধের বিষয়ে অনুতপ্তের ছাপ ছিল না। এ ছাড়া আসামিদের ভিতর অপরাধবোধ কাজ করেনি। তারা সব সময় আদালতে স্বাভাবিক ছিল। তাই সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়াই উচিত।’ মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমপুর এলাকার ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে অটোরিকশাচালক সাজু আহমেদ (৩৫), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৬), ছেলে ইমরান (৭) ও মেয়ে সানজিদার (২) হাত-পা-চোখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাজুর ভাই বশিরউদ্দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার দুই মাসের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসামিরা ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর ঘটনা তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাজু এবং এ মামলার আসামিরা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। লুটের মালের ভাগ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ ছাড়া আসামি জনির স্ত্রীর সঙ্গে সাজুর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এসব বিষয় হত্যার পেছনে ভূমিকা রাখে। এর আগে আসামিরা অতিথি সেজে ঘটনার দিন সাজুর বাসায় যায় এবং সেখানেই রাত যাপন করে। রাতের কোনো এক সময় তারা ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সাজু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর