শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিমানের অনিয়মে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

যাত্রী ও মালামাল পরিবহন বৃদ্ধি আশানুরূপ না হওয়া সত্ত্বেও লোকসানি রুটে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনাসহ বিমান পরিচালনায় অদক্ষতা, মালামাল ক্রয় ও ইঞ্জিন মেরামতে অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমানের দীর্ঘমেয়াদি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান, বাণিজ্যিক ও ফিন্যান্সিয়াল প্ল্যানসহ বিমানের কোনো রিজার্ভ ফান্ড না থাকায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। কমিটি অবিলম্বে বাংলাদেশ বিমানকে পৃথকভাবে এসব প্ল্যান তৈরিসহ রিজার্ভ ফান্ড গঠনের সুপারিশ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিমানের রি-ফুয়েলিং বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়েছে। বৈঠকে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের পারফরমেন্স অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে গিয়ে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। কমিটির সদস্য আ. ফ. ম রুহুল হক, বেগম রেবেকা মমিন, মঈন উদ্দীন খান বাদল, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে বিমানের আন্তর্জাতিক স্টেশনগুলোর মধ্যে ঢাকা-নিউইয়র্ক, ঢাকা-ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর-ঢাকা বিলাসী ও লোকসানি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয় ঢাকা-ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুট চালু থাকা সত্ত্বেও অলাভজনক ও অসন্তোষজনক লোড ফ্যাক্টরে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুট চালু রাখায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি কমাতে কমিটি ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ক্রয় না করা, শুধু প্রয়োজনের সময় ক্রয় করা, যথাযথ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেরামত কার্য সম্পাদন এবং ডিসি-১০-৩০ বিমান সম্পর্কে আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরির সুপারিশ করে। কমিটি রুট পরিচালনার বাণিজ্যিক চাহিদা নিরূপণ করে ফ্লাইট পরিচালনা, মার্কেটিং নেটওয়ার্ক প্ল্যানিং প্রণয়ন এবং এটিপি বিমান ক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তিন মাসের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর