শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে এনবিআরে তথ্য আছে

নজিবুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে এনবিআরে তথ্য আছে

দেশ থেকে মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, মুদ্রা পাচারের অনুসন্ধান করতে গিয়ে এনবিআর যত গভীরে যাচ্ছে পাচারকারীদের তত কুিসত  চেহারা বেরিয়ে আসছে। এনবিআরে শিগগিরই একটি চোরাচালানবিরোধী ফোরাম গঠন করা হচ্ছে। গতকাল নিজ দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছে। বিদ্যমান আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। দুদক, পুলিশ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এনবিআর কাস্টমস, আয়করসহ বিভিন্ন আঙ্গিক ও কৌশলে কাজ করছে। পাচার বা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। অনেকের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা পাচারের একটি আলামত খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি আটক করা হয়েছে। এনবিআরে একটি চোরাচালানবিরোধী ফোরাম গঠন করতে অর্থমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। যেখানে বিভাগীয় কমিশনার ও বিভিন্ন সংস্থা যুক্ত থাকবে। খুব শিগগিরই এ ফোরাম গঠন করা হবে। তিনি বলেন, করদাতাবান্ধব পরিবেশ, জনকল্যাণে রাজস্ব আদায় ও পার্টনারশিপ স্থাপনে এনবিআর তার বৃত্তের বাইরে যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে জনগণকে কর প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করবে এনবিআর। অর্থনৈতিক ও রাজস্ব সম্ভাবনাময় স্থানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করা হবে। তারা জনগণকে আয়কর, রাজস্ব প্রদান বিষয়ে সচেতন ও পরামর্শ দেবেন। আয়কর মেলার পর কর অঞ্চলে মেলার পরিবেশে কর সেবা দিতে কর্মকর্তারা উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে। সারা দেশে করদাতা, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দিনে এনবিআর পুরো সময় স্থানীয় পর্যায়ে চলে যেতে চায়। উপজেলা কর অফিসগুলোকে সক্রিয় করা হবে, কেন্দ্র থেকে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করতে কর্মকর্তারা সেখানে যাবেন। পার্টনারশিপ স্থাপনে এনবিআর বৃত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এনবিআর নভেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে। এ প্রবৃদ্ধি অনুযায়ী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও সম্ভব হবে। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঋণ গ্রহণ থেকে শুরু করে আমদানি-রপ্তানি সব ক্ষেত্রে যাতে রাজস্ব আদায় করে ব্যাংকগুলো। একই সঙ্গে রাজস্ব আদায় ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডার মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ইসিআর ব্যবহারে বাধ্য করতে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তা ও কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা তদারকি করবেন। এ ছাড়া মূসক গোয়েন্দাকে ইসিআর তদারকি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পণ্য ক্রয় ও সেবা নেওয়ার সময় ইসিআর ভালো করে দেখে ভ্যাট দিতে জনগণকে আহ্বান জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর