শিরোনাম
বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

থাই দূতাবাসের প্রতিবাদ

বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় গত ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত ‘বৌদ্ধমন্দিরে রাষ্ট্রদূত মুনার প্রার্থনা!’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাস প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা করে বলেছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ?বাংলাদেশকে একটি প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ এবং সহনশীল রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য। থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মতো বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশসমূহে বাংলাদেশের বৌদ্ধ কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্প্রীতি জোরদার করা এবং সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে বৌদ্ধ সার্কিট পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ানো দূতাবাসেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।

এ লক্ষ্যে দূতাবাস গত ৯ ডিসেম্বর দূতাবাসের ৪০তম বর্ষপূর্তি এবং থাইল্যান্ডের রাজা ভুমিবলের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আসিয়ান বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন’-এর সহযোগিতায় একটি সেমিনার ও রাজার সুস্বাস্থ্য কামনায় একটি বৌদ্ধ প্রার্থনা সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানটি থাইল্যান্ডের সরকার, জনগণ ও মিডিয়ার কাছে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়,  বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থাইল্যান্ডে কূটনীতিকদের কতিপয় রীতিনীতি মেনে চলার প্রটোকল রয়েছে যা দেশটির স্পর্শকাতর রাজকীয় ও ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিষয়টি একান্তই স্বাগতিক দেশে কূটনীতিক পেশাদারিত্বের অংশবিশেষ এবং রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত স্বার্থ অথবা ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ছবিতে থাইল্যান্ডে কর্মরত আর দশটি ভিন্নধর্মী রাষ্ট্রদূতের মতোই, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত থাইল্যান্ডের একজন বিখ্যাত ধর্মগুরুকে থাই সাংস্কৃতিক রেওয়াজ অনুযায়ী ‘সোয়াদিকা’র ভঙ্গিতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, উপাসনা করছেন না। ছবিটিকে প্রতিবেদনে শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, বর্তমান রাষ্ট্রদূত  ধর্মীয় সম্প্রীতি উৎসাহিত করার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার অবদানের জন্য থাইল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্যোগে, থাইল্যান্ডের যুবরাজ এবং রাজকুমারী থেকে বিশেষ স্বীকৃতির উপহার পেয়েছেন যা বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে বিরল অর্জন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য : নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও ছবির ভিত্তিতেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসাম্প্রদায়িক নীতিতে অবিচল রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এক্ষেত্রে আপসহীন থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর