বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়সারা গবেষণা

লাকমিনা জেসমিন সোমা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়সারা গবেষণা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কমে গেছে গবেষণা কার্যক্রম। স্বল্প পরিসরে যেটুকুও হচ্ছে তার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিজ্ঞ মহল। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকেরা পদোন্নতি পেতে দায়সারা গবেষণা করছেন। সেখান থেকে আলোড়িত করার মতো নতুন কোনো জ্ঞান বা তত্ত্বই বের হয়ে আসছে না। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়েও পিছিয়ে পড়ছে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো। অন্যদিকে বাজেট স্বল্পতার কারণ দেখিয়েই ক্ষান্ত থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে শিক্ষার্থীদের গবেষণা তথা জ্ঞানচর্চাতেও স্থবিরতা চলে এসেছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্যই তিনটি। আর তা হলো— জ্ঞান অর্জন, জ্ঞান চর্চা এবং জ্ঞান সৃষ্টি। এর মধ্যে প্রথমটি চলছে। দ্বিতীয়টি কিছুটা হচ্ছে। কিন্তু শেষটি অর্থাত্ ‘জ্ঞান সৃষ্টি’ মোটেও হচ্ছে না। কারণ জ্ঞান সৃষ্টির জন্য যে মৌলিক গবেষণা দরকার সেটি হচ্ছে না। মাস্টার্স লেভেলে যেটুকু গবেষণা হচ্ছে, তাকে ঠিক গবেষণা নয়, সার্ভে বলা চলে। গবেষণা না হওয়ার পেছনে দুটি মূল কারণ দায়ী। প্রথমত, গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, অনেক শিক্ষক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিওর কনসালটেন্সিসহ অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রমোশনে মানসম্মত ও মৌলিক গবেষণার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হতে হবে। একই সঙ্গে গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের ৪৯টি গবেষণা সেন্টার থাকলেও মূলত গবেষণা হচ্ছে চার-পাঁচটিতে। বাকিগুলোতে খুব একটা কার্যক্রম নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর গবেষণা কাজে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হলেও গত তিন-চার বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো আলোচিত গবেষণা বের হয়ে আসেনি। উল্টো গবেষণা জালিয়াতির দায়ে শাস্তি হয়েছে শিক্ষকের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের স্বরচিত জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে পদোন্নতি নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ আছে। শর্ত অনুযায়ী নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে তিন বছরের ছুটি নিয়ে পূর্ণকালীন গবেষক হিসেবে গবেষণা করার কথা থাকলেও তা মানছেন না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেখানে খণ্ডকালীন গবেষকদেরও পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ২০১১ সালের পর থেকে আর কোনো জার্নাল প্রকাশিত হয়নি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়সারা গবেষণা ছাড়াও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পিএইচডি জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, গবেষণা ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে তার সুনাম ও ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। মানসম্মত গবেষণা কার্যক্রমে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে দেশসেরা এই বিদ্যাপীঠ। সেখানে এক হাজার ৯২৬ জন শিক্ষকের মধ্যে বেশিরভাগেরই কোনো প্রকাশনা, প্রবন্ধ বা গবেষণা কার্যক্রম নেই। ৪৯টি গবেষণা সেন্টারের চার-পাঁচটি ছাড়া অন্যগুলোতে বস্তুত দৃশ্যমান কোনো গবেষণা কার্যক্রম না চলায় আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংসহ নানা দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। অথচ, চলতি বছরও এই গবেষণা সেন্টারগুলোর জন্য চার কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত শিক্ষাবর্ষেও (২০১৪-১৫) এর পরিমাণ ছিল তিন কোটি ১০ হাজার টাকা। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিনেট অধিবেশনে গবেষণা সেন্টারগুলোর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ সিনেট সদস্যরা। অধিবেশন থেকে কেন্দ্রগুলোর গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির আহ্বান জানান তারা। গেল বছর জুনে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক বিবরণী (২০১৩-১৪) অনুসারে, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রায় ৯১ শতাংশ শিক্ষকের কোনো ধরনের গবেষণা, প্রবন্ধ বা প্রকাশনা ছিল না। একইভাবে আইন অনুষদের ৯৫ শতাংশ, কলা অনুষদের ৭৫ শতাংশ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৯০ শতাংশ শিক্ষকের কোনো গবেষণা কার্যক্রম নেই। সর্বশেষ ওই বার্ষিক বিবরণীতে ৪৯টি গবেষণা সেন্টারের মধ্যে মাত্র ৩২টি সেন্টারের কার্যক্রমের উল্লেখ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সব শিক্ষক তাদের প্রকাশনা বা গবেষণার তথ্য বার্ষিক বিবরণীতে দেন না। ফলে বার্ষিক বিবরণী থেকে গবেষণার সঠিক চিত্র পাওয়া যায় না। গবেষণা বৃদ্ধির জন্য চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া গবেষণা সেন্টারের কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকই মানসম্মত গবেষণা করছেন না। বছরের পর বছর কম-বেশি বরাদ্দের টাকা এলেও গবেষণা হচ্ছে না। উল্টো গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট অনেক শিক্ষক সভা-সেমিনার বা সিম্পোজিয়ামের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা না থাকার সুযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টাকা নিয়ে নামমাত্র গবেষণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেক শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, গত চার বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে ব্যয় করে প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ টাকা। যদিও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয় না। শিক্ষা ও আনুষঙ্গিক খাত থেকে কিছু টাকা গবেষণা খাতে দেওয়া হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৯ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট থেকে ১৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা শিক্ষা ও আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি গবেষণাপত্র জালিয়াতির দায়ে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিয়েছে সিন্ডিকেট। এর মধ্যে ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি জালিয়াতির দায়ে একই বিভাগের রফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধন এবং গবেষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই অভিযোগে সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কৃষ্ণপদ মণ্ডলকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজাদী পারভিনের বিরুদ্ধে ছাত্রের পিএইচডি থিসিস নকল করে ডিগ্রি নেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘শুধু বাজেট বাড়ালে হবে না শিক্ষকদের আগ্রহের জায়গাও বাড়াতে হবে। নতুন নীতিমালায় আমরা গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রেখেছি। গবেষণাপত্র জালিয়াতির বিষয়ে তিনি বলেন, নিজে কাজ না করে জালিয়াতি করে নতুন কিছু করা সম্ভব না। জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আগেও শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আর ভবিষ্যতেও হবে।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, পদোন্নতির জন্য বিভাগভিত্তিক স্বরচিত জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করে হরহামেশাই পদোন্নতি নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। ওই জার্নালগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্টজনেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ, মনোবিজ্ঞান ও আইন বিভাগ তাদের নিজস্ব উদ্যোগে জার্নাল বের করে। সেখানে শিক্ষকরাই লেখক, প্রকাশক ও মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তারাই এসব জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করে পদোন্নতি নেন। এই কার্যক্রমের বৈধতা নেওয়া হয়েছে আপগ্রেডেশন সংক্রান্ত নীতিমালার পরিশিষ্ট-৭(খ) এর মাধ্যমে। সেখানে বলা হয়েছে, স্বীকৃত জার্নাল বলতে সংশ্লিষ্ট অনুষদীয় সভা কর্তৃক সুপারিশকৃত এবং একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত জার্নালসমূহকে বোঝাবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্মকাণ্ডকে গতিশীল রাখতে একটি সেলও রয়েছে। সেখানে গবেষণা প্রকল্প বাবদ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পরিচালক (গবেষণা) ড. শামীমা বেগম বলেন, আমাদের এখানে শিক্ষকদের রিসার্চে আগ্রহ কম। আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কম ফান্ডে রিসার্চ হয় না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, শিক্ষা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিতে সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে পারলেও গবেষণায় পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানে কয়েকজন গবেষকের প্রবন্ধ বা প্রতিবেদনের মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আছে গবেষণা কর্ম নকল করার অভিযোগও। পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় মান রক্ষা করা হচ্ছে না, অভিযোগ আছে এ ক্ষেত্রেও। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) শর্ত অনুযায়ী, গবেষণাকালে গবেষকদের নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে তিন বছরের ছুটি নিয়ে পূর্ণকালীন গবেষক হিসেবে গবেষণা করার কথা থাকলেও তা মানছে না এ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে খণ্ডকালীন গবেষকদের পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গবেষকদের রচিত অভিসন্দর্ভ (থিসিস) দেশের বাইরের পরীক্ষকদের মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয় না। ফলে দেশীয় বহিঃপরীক্ষকদের দিয়ে তা মূল্যায়ন করায় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, আমলা, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। জার্মানির চ্যান্সেলর পুরস্কারপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এ এ মামুন বলেন, ‘আগে বিদেশে থিসিস পাঠানোর নিয়ম ছিল। তবে পরে ‘বহিঃস্থ পরীক্ষককে মৌখিক পরীক্ষায় উপস্থিত থাকতে হবে’— এমন শর্তে বিশাল খরচের ব্যাপার চলে আসে। তাই কেউ থিসিস বিদেশে পাঠাতে আগ্রহী হন না। এর মাধ্যমে আমাদের পিএইচডিকে ‘লো-গ্রেড করে দেওয়া হয়েছে।’  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু ১৯৮০ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশিত হলেও অধিকাংশ শিক্ষকের গবেষণাপত্র নিম্নমানের স্থানীয় জার্নালে প্রকাশিত। তারা এভাবে পদোন্নতি পেতে দায়সারা গবেষণা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পিএইচডি ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন, ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান এবং হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. অরবিন্দু সাহা রয়েছেন। গবেষণা সংকট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ই একটি গবেষণা ক্ষেত্র। এখানে উচ্চমানের গবেষণা কার্যক্রম হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা ঠিকভাবে হচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চতর গবেষণা ক্ষেত্র তৈরি করতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ফরহাদ উদ্দীন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জয়শ্রী ভাদুড়ী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নাহিদুর রহমান হিমেল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহবুব মমতাজী, এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইকবাল হোসাইন রুদ্র।]

সর্বশেষ খবর