বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার ৩০ লাখ শহীদের নাম প্রকাশের দাবি গয়েশ্বরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া-মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বিএনপি ওই মিলাদ ও দোয়া-মাহফিল আয়োজন করে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সত্য কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা, আর মিথ্যা কথা বললে দেশপ্রেম—এই নীতিতে বিশ্বাস করি না। সত্য যত নির্মম হোক, সত্য সত্যই। ইতিহাস সঠিকভাবে লিখতে হয়। কে কত লাখ বলল এটা বড় কথা নয়। গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করুন। তারপর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত পারেন, মামলা করেন।’ মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘তারা ৩০ লাখ হোক, বা ৬০ লাখ হোক, তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। তাদের তালিকা কী কারণে থাকবে না। শহীদদের নাম উল্লেখ করে এলাকায় এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে। শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ভালো-মন্দ দেখা দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এ জন্য সরকারকে বলব, মামলা-টামলা যা দেন লাভ হবে না।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নেত্রী (খালেদা জিয়া) যখন একটা কথা বললেন, আমরা তখন সবাই মুখে তালা মারলাম। তার সমর্থনে কেউ কোনো কথা বললাম না। অন্যদিকে ভালো হোক মন্দ হোক, সবাই এক সুরে বলল। নেত্রীর কথা সমর্থন করলে মামলা হবে, এই ভয়ে যখন আমরা তার সমর্থন করি না, তখন বিবেচনা করতে হবে বিএনপির রাজনীতি করার যোগ্যতা আমাদের আছে কি না।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা যত চুপ করে থাকি না কেন, মামলা আমাদের ছাড়বে না। সহকর্মীদের গুমের মিছিল অনেক বড় হয়ে গেছে। শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। নিখোঁজ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। নিজের ভালো থাকার জন্য কৌশল অবলম্বন না করে বুক টান করে রাজপথে হাঁটুন।’ দোয়া অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল লতিফ জনি, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর