বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

পাহাড়চূড়ায় চণ্ডীমুড়া মন্দির

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

পাহাড়চূড়ায় চণ্ডীমুড়া মন্দির

১৩০০ বছরের প্রাচীন কুমিল্লা লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত চণ্ডীমুড়া মন্দির। পাহাড়ের গায়ে বসানো সিমেন্টের সিঁড়ি বেয়ে মন্দিরে উঠতে হয়। কুমিল্লা মহানগরী থেকে ১৩ কিলোমিটার পশ্চিমে কুমিল্লা-চাঁদপুর-বরুড়া সড়কের সংযোগস্থলে ১৫০ ফুট পাহাড়ের ওপরে চণ্ডীমুড়া মন্দির। এটি কুমিল্লার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। সূত্র জানায়, চণ্ডীমুড়ায় পাশাপাশি দুটি মন্দির। দক্ষিণ পাশের মন্দিরটি চণ্ডী মন্দির আর উত্তর পাশেরটি শিব মন্দির। মন্দির দুটি সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত। সপ্তম শতাব্দীর খড়্গ বংশীয় রাজা দেবখড়েগর রানী প্রভাবতী একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবী শর্বাণীর মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। বর্তমানে নানা ধর্মের লোক প্রতিদিনই মন্দিরটি দেখতে আসেন। প্রতি বছর তিনবার চণ্ডীমুড়ায় ভক্তের সমাবেশ ঘটে। কার্তিক মাসের কালীপূজার সময় দেওয়ালি উত্সব, পৌষ-মাঘে গীতা সম্মিলন এবং ফাল্গুন-চৈত্রে বাসন্তী মহাঅষ্টমী।

জানা গেছে, ১৯৫৫-৫৬ সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ লালমাই-ময়নামতিতে জরিপ চালিয়ে কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক যে ৫৪টি স্থান সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট করে তার মধ্যে চণ্ডীমুড়া অন্যতম। স্থানীয়দের মতে, এটিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করা যেতে পারে। চণ্ডীমুড়া মন্দির কমিটির সভাপতি ডা. দিলীপকুমার সরকার জানান, এ মন্দিরটি কুমিল্লার দর্শনীয় স্থানের একটি। এটিকে সংস্কার করে আরও আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করা যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর