শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ যুক্ত হচ্ছে বিশ্বেও ৩২৭টি বাণিজ্য কেন্দ্রে

চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধন আজ

রিয়াজ হায়দার, চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ যুক্ত হচ্ছে বিশ্বেও ৩২৭টি বাণিজ্য কেন্দ্রে

বিশ্বের ৩২৭টি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। নন্দন স্থাপত্যশৈলীতে বিশ্বমানের সুবিধাসমৃদ্ধ দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মাধ্যমে ঘটছে এ মেলবন্ধন। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৪ তলা এই বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রটির আজ উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ প্রধানমন্ত্রী চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) উদ্যোগে নির্মিত এ কেন্দ্রসহ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম বন্দর-পতেঙ্গা আসনের এমপি এম এ লতিফ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যে এগিয়ে চলেছে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ তারই প্রতীক। এ ট্রেড সেন্টারটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সিসিসিআইর সভাপতি ও সার্ক চেম্বারের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি জানান, প্রায় দুই বছর আগে থেকেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধনের প্রস্তুতি ছিল। অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে তা সম্ভব হয়নি। বর্তমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে এর উদ্বোধন দেশের ইতিহাসে আলোকোজ্জ্বল হয়ে থাকবে। বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরীও মনে করেন, বিশ্ববাণিজ্যের সঙ্গে গতি রেখে দেশের অগ্রগতিতে এ ওয়ার্ল্ড ট্রেট সেন্টার আমাদের অভিজাত্য ও অনিবার্যতার প্রতীক। একই মন্তব্য করেন জুনিয়র চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিল্পোদ্যোক্তা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটরও। সংশ্লিষ্টরা জানান, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারটি সাজানো হয়েছে বিশ্বমানের শোভন সুন্দর ঐতিহ্য অবলম্বন করে। ফলে এটি টোকিও, প্যারিস, নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের চেয়ে শোভনীয়তার দিক থেকে কোনো অংশে কম নয়। এটি চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ ভবন। সিসিসিআই এরই মধ্যে এর জন্য আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সনদও নিয়েছে। সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। ৭৫ কাঠা ভূমির ওপর নির্মিত ৬ লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুটের এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ১০ থেকে ২০ তলা পর্যন্ত রয়েছে পাঁচ তারকা হোটেল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টার, ব্যাংক, এক্সিকিউশন হল, শপিং মল, ফুড কোর্ট, আইটি জোন, সভাকক্ষ, হেলথ ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, বিলিয়ার্ড রুম, ব্যাংকুয়েট হল, স্লুকার রুম, সুইমিং পুল, টেনিস কোর্টসহ আধুনিক সব সুবিধা এতে রয়েছে। এরই মধ্যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে লাইসেন্স ফিও দিয়েছে চিটাগাং চেম্বার। প্রতি বছর সদস্য অনুমোদনের ফি হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রটির জন্য এককালীন দিতে হয়েছে ২ কোটি টাকা। এটিতে একই ছাদের নিচে রয়েছে রপ্তানিযোগ্য বাহারি সব পণ্যসম্ভার। পঞ্চম তলায় ১৩৮টি স্টলে তৈরি পোশাক, জুয়েলারি, সিরামিকস, খাদ্যপণ্য থেকে সব কিছুই থাকছে।

প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য কর্মসূচি : চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আজকের কর্মসূচিতে ৫ হাজার কোটি টাকার যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সূচিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো হলো : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল-এভিনিউ রোড, কদমতলী ফ্লাইওভার, বায়েজিদ বোস্তামী রোড ও চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড।

সর্বশেষ খবর