মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রেমিকের বুক কেটে হূিপণ্ড নেওয়া তরুণীর ফাঁসি

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রেমিককে হত্যা করে বুক কেটে হূিপণ্ড বের করে আনা এক তরুণীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন খুলনার একটি আদালত। খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা গতকাল এ রায় দেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ২১ বছর বয়সী ফাতেমা আক্তার সোনালী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি মেহেদী হাসান অনিককে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি সাব্বির আহমেদ। খবর বিডিনিউজের।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ নগরীর জোড়াগেট গণপূর্ত বিভাগের আবাসিক কলোনি থেকে কলেজছাত্র ইমদাদুল হক শিপনের গলা কাটা, বুক চেরা ও হূিপণ্ড বের করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিপনের ভাই মো. বাবুল মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে ওই মাসেরই ১৫ তারিখ শিপনের প্রেমিকা সোনালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সোনালী আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে পিপি সাব্বির জানান। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অনিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এসআই শওকত হোসেন সোনালী ও অনিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে হত্যার রোমহর্ষক কাহিনী উঠে আসে। অভিযোগপত্রে বলা হয় : গণপূর্ত বিভাগের আবাসিক কলোনিতে মামা আবু বক্করের বাসায় থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের মেডিকেল ইনস্টিটিউটের শেষ বর্ষে পড়তেন শিপন। পাশাপাশি তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফট অপারেটরের কাজও করতেন। হাসপাতালে সোনালীর সঙ্গে শিপনের পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক হয়। সোনালী জবানবন্দিতে বলেন, শিপন আরও চার-পাঁচ জন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জেনে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৪ সালের ৬ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত শিপনের মামা মাগুরায় গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যান। এ সময় শিপনের বাসায় যান সোনালী। ২০টি ঘুমের বড়ি গুঁড়া করে কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে শিপনকে পান করান তিনি। এরপর শিপন অচেতন হয়ে পড়লে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে সোনালী তাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। পরে শিপনের বুক চিরে হূিপণ্ড বের করে দুই টুকরো করে লাশের পাশে ফেলে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন সেট নিয়ে সোনালী পালিয়ে যান বলে তদন্তে উঠে আসে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর