রবিবার, ২২ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

শিশুকে পুকুরে ফেলে মারলেন মুয়াজ্জিন

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সুমাইয়া আক্তার (৮) নামে এক শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মুয়াজ্জিন হাফেজ জহিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনার দুই দিন পর গতকাল দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার সুতালাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জহিরুল ইসলাম চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রাগদুল এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি সুতালাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শিশু সুমাইয়া আক্তার নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সিংগারচারগোপাড়া এলাকার ওয়াজিদ মিয়ার মেয়ে। ওয়াজিদ মিয়া পরিবার নিয়ে সুতালাড়ার হাফেজ সিকদারের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম মাহাবুবুল আলম জানান, গতকাল সকালে সুতালাড়া জামে মসজিদসংলগ্ন পুকুরে শিশু সুমাইয়ার মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুতালাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন জহিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এসআই আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আরবি পড়ার উদ্দেশ্যে সহপাঠীদের সঙ্গে সুতালাড়া জামে মসজিদে যায় সুমাইয়া। এরপর সব শিশুকে ছুটি দিয়ে দিলেও সুমাইয়াকে ছুটি দেওয়া হয়নি। পরে সুমাইয়াকে হত্যার পর মসজিদের পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে, পরিবারের লোকজন সুমাইয়াকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। মুয়াজ্জিন জহিরুল মসজিদের মাইকে শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঝাড়ু দিতে গিয়ে সিঁড়িতে পড়ে মেয়েটি আহত হয়। এলাকাবাসীর ভয়ে আহতাবস্থায় পানিতে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জহিরুল ইসলাম। মেহেদী হাসান আরও জানান, ধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় শিশুর পিতা ওয়াজিদ মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যার পর গুম করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ খবর