রমজানের শেষ প্রান্তে এসে চিনি কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। গতকাল মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকায়। কিছু কিছু সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও বারিধারা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৫০, ঝিঙ্গা ৫০, গাজর-টমেটো-কচুমুখি ৫০, পটোল ৩০, সব ধরনের শাক ২০ থেকে ৩০, কাঁচামরিচ ৬০, ধনেপাতা ১৫০, পেঁপে ২০, শসা ৪০, করলা ৪০, বেগুন ৫০, কাঁকরোল ৪০, মিষ্টি কুমড়া (ফালি) ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে আলু ও ডিম অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা দাম কমেছে আমদানি করা রসুনের দাম। ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসায় কিছুটা বেড়েছে দেশি পিয়াজের ঝাঁজ। রাজধানীর বাজারে পিয়াজ (দেশি) প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়, পিয়াজ (আমদানি) ৩০ টাকা, রসুন (দেশি) ১৪০ টাকা, রসুন (আমদানি) ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, আলু ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম খুচরা বাজারে প্রতি হালি ৩২ টাকা ও ডজন ৯৫ টাকায় কিনছেন ক্রেতারা। তবে কারওয়ান বাজারে প্রতি হালি ২৮ টাকা ও ডজন ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিমের হালি ৪০ টাকা ও ডজন ১২০ টাকা এবং হাঁসের ডিমের হালি ৩৫ টাকা ও ডজন ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে রাজধানীর বাজারে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে কেজিপ্রতি ২০ টাকার মতো কমেছে লেয়ার মুরগির দাম। ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির পিস ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির পিস ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়ে যাওয়া দামেই বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে মসুর ডাল (দেশি) ১৫০ টাকা, ছোলা ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। এদিকে রাজধানীর বাজারে মাছ আগের দামেই রুই (ছোট) কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই (বড়) ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, ছোট কাতলা ১৮০ টাকায়, বড় ২২০ টাকায়, চিংড়ি (ছোট) ৪৫০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ মাছের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল এক কেজি ওজনের এক জোড়া ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।
এ ছাড়া খাসি ও গরুর মাংসও গত সপ্তাহের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস বাজারভেদে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, আর গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।