শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

দেশ থেকে পালিয়েছেন রাগীব আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

তারাপুর চা বাগান কেলেঙ্কারির নায়ক শিল্পপতি ও কথিত দানবীর রাগীব আলী ভারতে পালিয়ে গেছেন। জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় গত বুধবার তিনিসহ ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ওইদিন বিকালেই তিনি জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন ছেলে আবদুল হাই, ছেলের বৌ, নাতি ও তার (রাগীব আলী) বাংলোর দুই শিশু।

সূত্র জানায়, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে রাগীব আলী ও তার লোকেরা জকিগঞ্জ যান। সেখানে তার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছয়টি পাসপোর্ট নিয়ে সীমান্তের কাস্টমস ইমিগ্রেশন অফিসে আসেন। বিকাল সাড়ে ৫টায় রাগীব আলীরা নৌকায় কুশিয়ারা নদী পার হয়ে ভারতে পাড়ি জমান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানা আদালত থেকে বের হওয়ার আগেই রাগীব আলী জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে গেছেন। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করা এবং সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ ও প্রতারণার দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলেমেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার ওপর তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। আশির দশকে জালিয়াতির মাধ্যমে এটি দখলে নেন রাগীব আলী। এ নিয়ে চলা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে বাগানের সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

সর্বশেষ খবর