বিএনপির সিনিয়র যু্গ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দিতে পুলিশ টালবাহানা করছে। তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের নন। গড়িমসি না করে জনগণের সেবক হিসেবে জনসভার অনুমতি দিয়ে আইনানুগ আচরণ করুন। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। ১৩ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বিএনপির সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, গড়িমসি না করে আজই (শনিবার) সমাবেশের অনুমতি দিন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবীর খোকন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, সুলতানা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী আহমেদ আরও বলেন, বিভেদ-বিভাজনের সর্বনাশা নীতি গ্রহণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল অপারেশন চালাচ্ছে।
এ দেশে হিন্দুদের ওপর যত আক্রমণ, সম্পত্তি দখল, দেবালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তার জন্য একমাত্র দায়ী আওয়ামী লীগ। এসব ঘটনার দায়ে সরকারের এ মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া, রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত ২০০৯ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর যত আক্রমণ এবং তাদের সম্পত্তি দখল, লুটপাট, মঠমন্দির ভাঙচুর, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে এসবের হোতা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা। নাসিরনগরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের নির্দেশনায় তাণ্ডব ছাড়াও কয়েকদিন আগে গাইবান্ধায় সাঁওতাল পল্লীতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের গুলি ও পিটিয়ে চারজন সাঁওতাল আদিবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। রিজভী আহমেদ অবিলম্বে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।