গাজীপুরের বানিয়ারচালা এলাকায় আজাহারুল ইসলাম (২০) নামে এক তরুণকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ গতকাল তার লাশ উদ্ধার এবং সন্দেহভাজন ঘাতক দেলোয়ার হোসেনের (২৮) তিন সহযোগীকে আটক করেছে।

নিহত আজহারুল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার সাতেঙ্গা গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে। তিনি একাধারে ভালুকা ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র এবং বানিয়ারচালা এলাকার সিল্কেন সুইং লিমিটেড কারখানার কোয়ালিটি কন্ট্রোলার ছিলেন। জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাজমুল হক ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকায় তাইজউদ্দিনের বাড়ির মেসের একটি কক্ষে আজাহারুল তিন বছর ধরে ভাড়া থেকে স্থানীয় সিল্কেন সুইং লিমিটেড পোশাক কারখানায় চাকরি করছিলেন। একই কারখানার অপর শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়ির অপর কক্ষে ভাড়া থাকতেন। এই সুবাদে আজহারুলের সঙ্গে দেলোয়ারের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে আজাহারুল ও দেলোয়ারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মাস দেড়েক আগে দেলোয়ার তার স্ত্রীকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন। দেলোয়ার ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার জিলতলী গ্রামের মৃত শেখ মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। আজহারুলের কক্ষে আরও ভাড়া থাকতেন তার গ্রামের মোস্তাকিন হোসেন শাকিব (২২)। গত বৃহস্পতিবার বিকালে কারখানার কাজ সেরে তারা দুজনই গ্রামের বাড়ি যান। শুক্রবার সন্ধ্যায় আবার তারা বানিয়ারচালার বাসায় ফেরেন এবং রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে রাত ১টার দিকে দেলোয়ার বঁটি দিয়ে আজহারুলকে গলা কেটে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে রক্তমাখা অবস্থায় দেলোয়ার পাশের কক্ষে গিয়ে ‘মুরগি জবাই করেছি’ বলে অন্যদের জানিয়ে পালিয়ে যান। মেসের অন্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিছানার ওপর রক্তাক্ত ও জবাই করা অবস্থায় আজাহারুলকে গোঙাতে দেখেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।