শিরোনাম
শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রতারণার ভয়াবহ রূপ

সাঈদুর রহমান রিমন

প্রতারণার ভয়াবহ রূপ

দেশি-বিদেশি প্রতারকের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা অর্ধ-শতাধিক চক্রের সীমাহীন প্রতারণায় সর্বস্ব হারাচ্ছে মানুষ। প্রতিপদে প্রতারিত হওয়া মানুষ কোনো প্রতিকারও পাচ্ছেন না। প্রতারকদের সরবরাহ করা জাল কাগজপত্রের ভিত্তিতে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। থানা পুলিশ এসব প্রতারিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়ও না, উপরন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ হয়ে ওঠে প্রতারকদের রক্ষাকবচ। ফলে বাধাহীন প্রতারণার নানা ফাঁদে ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষ। চলতি পথের পদে পদে জঞ্জাল, প্রতারণার বেড়াজাল। ঘর থেকে দু-পা ফেলতেই হরেক প্রতারণার বেড়াজালে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষ। ফুটপাথ থেকে শুরু করে অফিস-আদালতের নানা পর্যায়েই চলে নিত্যনতুন প্রতারণা। ঘরে বসে ফেরিওয়ালাদের জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে ওজনে ঠকতে হয়, মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানার নামে টাউট-বাটপারদের হাতে তুলে দিতে হয় নগদ টাকা। গন্তব্যে যেতে সিএনজি ট্যাক্সি ও ক্যাবের মিটার জালিয়াতির কবলে পড়ে ‘অতিরিক্ত ভাড়া’ পরিশোধের পরও গুনতে হয় ২০/২৫ টাকার বাড়তি বখশিশ। রাস্তায়, বাজারে, কর্মস্থলসহ সর্বত্রই আরও কত রকমের ফাঁদ, মওকায় যে লোকজনের পকেট খালি হয় তার ইয়ত্তা নেই। জীবনযাত্রার সর্বক্ষেত্রই প্রতারণার অক্টোপাসে বন্দী হয়ে পড়ছে, পদে পদে ওতপেতে থাকছে নানামুখী বিপদ।

প্রতারণার আশঙ্কায় ঘরে বসে থেকেও রেহাই নেই। হরেক কৌশলের ফাঁদে সঞ্চয়ের টাকা তুলে দিতে হচ্ছে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসায়ী বা মাল্টিপারপাসের বাণিজ্য ফেঁদে বসা প্রতারকদের হাতে। দ্বিগুণ, তিনগুণ লাভের লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মানুষের সর্বস্ব। প্রতারণার ভয়াবহ মহামারী ব্যক্তি-পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়েও ডালপালা গজিয়ে তুলেছে।

জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে প্রতারণা। নানা চক্র হরেক স্টাইলের প্রতারণার জাল বিছিয়ে হাজারো মানুষজনকে প্রতিনিয়ত প্রতারিত করে আসছে। ডিজিটাল জীবন ব্যবস্থাপনায় ‘প্রতারণাও’ ডিজিটাল রূপ পেতে শুরু করেছে। এখন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড যেমন জালিয়াতি করে যে কারও অ্যাকাউন্ট খালি করা হচ্ছে, তেমনি গলাকাটা পাসপোর্ট তৈরি, বিদেশ থেকে ভুয়া ওয়ার্কিং পারমিট সংগ্রহ, নিয়োগপত্র প্রস্তুত, মোবাইলে লাখ লাখ টাকার লটারি পাওয়ার প্রলোভনে মেসেজ বানিয়েও প্রতারিত করা হচ্ছে সহজ-সরল বাসিন্দাদের। ব্যাংক কার্ড জালিয়াতিসহ ডিজিটাল নানা প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি দেশি-বিদেশি সমন্বয়ে গড়ে তোলা বেশ কয়েকটি প্রতারক চক্রের অন্তত ৩০ জন সদস্যকে আটক করেছে মহানগর ডিবি পুলিশ। তারা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে টাকা তুলে নেওয়ার প্রযুক্তি আয়ত্ত করে। কারও ক্রেডিট কার্ডের নম্বর জানতে পারলেই বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে অন্য কার্ডে তা ব্যবহার করতে পারতেন, লোকের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে তাদের কার্ডের পিন নম্বর জেনে এবং স্বাক্ষর জাল করেও টাকা তুলে নিতেন এই চক্রের সদস্যরা।

নানা বুদ্ধির কৌশলে প্রস্তুতকৃত প্রতারণার ফাঁদে শুধু যে গ্রামীণ এলাকার সহজ সরল, অজ্ঞ-অসচেতন মানুষজনই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নয়, শহুরে শিক্ষিত সচেতন বাসিন্দারাও এসব প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়ে চলছেন অহরহ। বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নানা বেহালচিত্র। বহুমুখী প্রতারক এক মনির হোসেনের সন্ধান মিলেছে। সে নিজেকে কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো সেনা অফিসার, আবার কখনো নিজেকে সচিবসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দেদার প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মন্ত্রীর জাল স্বাক্ষর, জাল সার্টিফিকেট, ভুয়া দলিল তৈরির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অসংখ্য অভিযোগ আর জিডি মামলা করেও তার প্রতারণা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মানুষজন।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার মৃত সাইজউদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন। ব্যাংকের পে-অর্ডার জালিয়াতি, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করায় ১৯৯৪ সালের ৪ নভেম্বর দায়ের করা মামলায় ছয় মাস কারাভোগ করেন প্রতারক মনির। সিদ্ধিরগঞ্জের তাহমিনা আক্তার সুমি, মাহবুব হোসেন মানিকসহ বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় ভুয়া মামলা দায়ের করে তাদের জায়গা-জমি জবরদখল করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভুয়া নারী ও কাবিননামা সাজিয়ে তিনি বিভিন্ন জেলার আদালতে যার-তার নামেই মামলা রুজু করেন এবং হয়রানির একপর্যায়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা হাতিয়ে নেন।

প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, বিয়ে এমনকি মৃত্যুর পর লাশ দাফন পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই প্রতারণার একচ্ছত্র দাপট রয়েছে। রাস্তাঘাটের যেখানে সেখানে দেখা যায় পার্টটাইম চাকরির বিজ্ঞাপন। এসব লোভনীয় চাকরির বিজ্ঞাপনের পাতা ফাঁদে পা দিলেই বিপদ। শুধু রাস্তার বিজ্ঞাপন কেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও চাকরি দেওয়ার নামে অহরহ প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। আবেদনপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার ফি বাবদ টাকা পাঠাতে বলা হয়। নির্দিষ্ট দিনে অফিসে গিয়ে দেখা যায় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ফি বাবদ প্রদত্ত টাকা নিয়ে উধাও।

ইমিগ্রান্ট ভিসা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সর্বস্বান্ত করেছেন অনেককে। বেকার যুবক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাও রয়েছেন এ তালিকায়। তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় চার লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। এক থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে ছয়টি প্রতারণার মামলা। এসব মামলায় এরই মধ্যে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। তাই হন্যে হয়ে খুঁজছে রমনা থানা পুলিশ। তার একাধিক অফিসের মধ্যে পুলিশ দুটি অফিসের সন্ধান পেয়েছে। এর মধ্যে একটি বিজয়নগরে আকরাম টাওয়ারের ছয়তলা, অপরটি বারিধারা নিউ ডিওএইচএস-এ। পুলিশ যাওয়ার পর অফিস দুটি তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে। কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নামে বিশেষ করে ছাত্রদের ইমিগ্রান্ট ভিসা দেওয়ার নাম করে অভিনব কায়দায় টাকা নেয়। কিন্তু ছাত্রদের বিদেশে পাঠাতে না পারায় অভিভাবকরা চাপ সৃষ্টি করলে অনেকের চেক দিয়ে সান্ত্বনা দেন, পরে আকরাম টাওয়ারের অফিস ছেড়ে পালিয়ে বেড়ায়। এভাবে তার কাছে যারা টাকা দিয়েছে, সেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরাই মামলা করেছেন।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়বস্তুকে এমন নিখুুঁতভাবে উপস্থাপন করা হয় যে অবিশ্বাস করার প্রশ্নও কারও মাথায় আসে না। বিদেশগামী অনেক শ্রমিকের বেলায় দেখা গেছে, এজেন্টরা টাকা নিয়ে শ্রমিকদের গলাকাটা পাসপোর্ট ধরিয়ে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার নকল জলছাপ ও লোগো এত সুন্দর করে প্রতারকরা পাসপোর্টে বসিয়ে দেয় যে, মনে হবে অরিজিনাল। বিষয়টি শেষমেশ ধরা পড়ে এয়ারপোর্ট পাস করার মুহূর্তে। ততক্ষণে শত শত শ্রমিকের লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারকচক্র উধাও। বিভিন্ন রোগকে পুঁজি করেও চলছে জমজমাট প্রতারণা ব্যবসা। এসবের মধ্যে গোপন রোগের চিকিৎসা সবচেয়ে বেশি হিট। বিশেষ মালিশের ব্যবহার থেকে শুরু করে শরীর মোটাতাজাকরণ বা স্লিম পিল সেবন, স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ ভঞ্জন, শত্রু বশীকরণ, চাকরির ভাগ্য ফেরানো ইত্যাদি নানা প্রতারণা চলছে প্রতিদিন। মোটা ফ্রেমের হাই পাওয়ার গ্লাসের চশমা পরে অনেক কবিরাজই আজকাল এসব টোটকা ওষুধের ব্যবসা শুরু করেছেন। বাজারে এমনকি ভাগ্য ফেরানোর ওষুধও পাওয়া যায়। যেমন রত্ন পাথরের ব্যবসা। এসব ব্যবসার কবিরাজরা ভবিষ্যৎ পর্যন্ত বলে দিতে পারেন। রাশি গুনে তারা বলে দিতে পারেন বাকি জীবনের শত সুখ-দুঃখের খবর। এদের স্লোগান হলো ‘তদবিরে তকদির খোলে’। এসব ভণ্ড কবিরাজের কবিরাজি ও কারসাজিতে অনেকেই ভুক্তভোগী।

দয়াল পাগল চেংরা বাবার দু-চোক্ষের ইশারায় চাকরি, অসচ্ছলতা দূর, হারানো ব্যক্তিকে ফিরে পাওয়াসহ সব মুশকিলই কেটে যায়। এ ছাড়া যেকোনো অঙ্কের টাকা বাবার হাতে তুলে দেওয়ার পর তা আগুনে পোড়ানোর পর কিছু সময়ের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাই নিঃসঙ্কোচে বাবাকে যত টাকা দেবেন ততই লাভবান হবেন। এসব লোভনীয় বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে রাজধানীর মালিবাগ স্বামীবাগ এলাকায় প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতেছে এলাকার একটি দুষ্টচক্র। প্রতিনিয়তই মানুষজন প্রতারণার শিকার, অথচ কোনো প্রতিকার নেই। জমি কিনলে পরে দেখা যায় জমির এজেন্ট বা দালাল অন্যের জমি ভুয়া দলিল বানিয়ে বিক্রি করেছে। ব্রিজ, কালভার্ট, বাড়িঘর নির্মাণ হচ্ছে অথচ রড, ইট, সিমেন্ট, বালুর সঠিক মিশ্রণ দিচ্ছেন না ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার; রোগ হয়েছে তো অপ্রয়োজনীয় টেস্ট ও ওষুধ দিচ্ছেন ডাক্তার; বিপদে পড়ে গেলেন অ্যাডভোকেটের কাছে তিনি এমন ব্যবস্থা করলেন যেন মাসের পর মাস আদালতে দৌড়াতে হয়—এ রকম শত-সহস্র প্রতারণার নাগপাশে বন্দী আমরা।

অভিনব অভিযোগ উঠেছে ডিএমপিভুক্ত বিভিন্ন থানার বিরুদ্ধে। থানাগুলোর সামনে স্থাপিত বোর্ডে দাগী অপরাধীদের ছবি টাঙিয়ে রাখার নিয়ম পালন হয় ঠিকই—কিন্তু মাথাপিছু ২০/২২ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব ছবি বোর্ড থেকে উধাও করে দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দাগী আসামির ছবি সরাতে সরাতে যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, বাড্ডা-ভাটারা থানার নোটিস বোর্ড এখন প্রায় ছবিশূন্য হয়ে পড়েছে। থানার বোর্ডে চিহ্নিত ছিনতাইকারী, পেশাদার কিলার, চাঁদাবাজচক্র, অপহরণকারী, মাদক ব্যবসায়ী, আন্তঃজেলা ডাকাত, ছিঁচকে চোরসহ অপরাধীদের ১৪টি ভাগে বিভক্ত করে তাদের ছবি টানানোর নিয়ম থাকে। এসব ছবি দেখে সাধারণ নাগরিক যেমন সতর্ক থাকতে পারেন তেমনি তাদের গতিবিধি দেখলেই পুলিশকে জানিয়ে সহায়তা করতে পারেন। কিন্তু বোর্ড থেকে ছবিগুলো গায়েব করে দেওয়ায় আইনগত সহায়তা-সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকছেন সবাই।

নাটকে, ফিল্মে অভিনয়ের জন্য অনেকেই মরিয়া। তরুণ-তরুণীদের এ রকম স্বপ্ন ও সাধকে পুঁজি করে অনেকেই প্রতারণার ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। ফিল্ম ও সিনেমার লাইনে টাকা ঢেলে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে। লম্পটদের খপ্পরে পড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন তরুণীরা। রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা সর্বস্ব খুইয়ে দেন। কারও কারও পরিণতি হয় আরও ভয়াবহ। নিরুপায় হয়ে তাদের সোসাইটি গার্ল বা কলগার্লের জীবন বেছে নিতে হয়। মাত্র ১০ হাজার টাকা বুকিং দিলেই ফ্ল্যাটের মালিক হওয়া যাবে। ভিশন লি. নামের একটি ভূইফোড় কোম্পানি এভাবেই তাদের প্রতারণা শুরু করে। গ্রাহকদের বলে ১০ হাজার টাকা বুকিং দিয়ে আমাদের কোম্পানি থেকে আয় করে বাকি টাকা পরিশোধ করে ফ্ল্যাটের মালিক হওয়া যাবে। কিন্তু টাকা দেওয়ার পর আর আয়ও করতে পারে না, ফ্ল্যাটও নিতে পারে না। স্টার, গৃহ নির্মাণ ও বিজনেস সিস্টেম লি. নামের কথিত কোম্পানির নামে একই অভিযোগ রয়েছে।

দুর্গম অঞ্চলে ঘরে ঘরে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার নামে ‘শক্তি লিমিটেড’ নামে আরেক প্রতারক প্রতিষ্ঠানের দৌরাত্ম্য দেখতে পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। মধ্যবাড্ডার লিংক রোডে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হচ্ছেন জনৈক নাজিউর রহমান চৌধুরী, একাধিক নাম তার। গ্রামে তার নাম মনির হোসেন। নিজেকে সদ্য অবসরে আসা সেনা মেজর বলেই পরিচয় দেন, ছিলেন ডেসটিনি কর্মকর্তা। ভুয়া চেক দিয়ে স্টাফদের বেতন-ভাতা দেওয়াসহ অন্যান্য আসবাবপত্রাদি পর্যন্ত কিনে থাকেন। তবে তার কোনো চেক ব্যাংকে পাস হয় না। বেতন চাইলে থানায় অভিযোগ করা হয় কর্মচারীদের নামে।

সর্বশেষ খবর