বাংলাদেশের ২৭টি আকর্ষণীয় স্থানকে দেশি-বিদেশি পর্যটক বান্ধব করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এসব স্থানের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আকর্ষণীয় স্থান মাধবকুণ্ডু, রাতারগুল, মাধবপুর লেক, বিছানাকান্দী, রাণী ভবানী, পানাম নগর, ময়নামতি, নীলাচল, মেঘলা অবকাশ কেন্দ্র, বগুড়ার মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, কক্সবাজার, সুসং দুর্গাপুর, বিজয়পুর, কুয়াকাটা, ষাটগম্বুজ (বাগেরহাট), সুন্দরবনের কটকা, করমজল, হালুয়াঘাট, সীতাকুণ্ডু, টেকনাফ, ফৌজদারহাট সি-বিচ, টেকেরঘাট, শ্রীমঙ্গল ও বারেকের টিলাসহ ২৭ পর্যটন এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হচ্ছে। এসব দর্শনীয় এলাকায় ভবন ও নানা দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি বৃদ্ধি করা হবে স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার। সূত্র জানায়, উন্নয়ন হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপে থাকছে অবকাঠামোর উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চিতকরণ। দ্বিতীয় ধাপে থাকছে পর্যটকদের সুবিধার জন্য এয়ারলাইনস, বাস, শিপিং, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ট্যুর অপারেটর সুবিধা নিশ্চিতকরণ। তৃতীয় ধাপে থাকবে ট্রাভেল এজেন্ট, কার রেন্টাল ফার্ম, ক্যাটারার, হস্তশিল্প ও কৃষিপণ্য খুচরা বিক্রির বিকাশ ঘটানোর বিষয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এসব উদ্যোগ নিয়েছে। আজ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অগ্রগতি সভা ডাকা হয়েছে। এছাড়া পর্যটন বর্ষ উপলক্ষে দেশের কতিপয় আকর্ষণীয় এলাকার উন্নয়নে ৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার কাজ করবে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, পর্যটন সুবিধার লক্ষ্যে চারটি ট্যুরিস্ট কোচ, চারটি মাইক্রোবাস কেনাসহ ২৪ সেট উন্নত মানের ক্যামেরা কেনা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (পর্যটন) জ্যোর্তিময় বর্মন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশের ২৭টি আকর্ষণীয় স্থানে সব ধরনের পর্যটক বান্ধব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি উন্নত মানের আবাসন সুবিধা, স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে। কারণ এসব স্থানে বিদেশি পর্যটকদের জন্য তেমন কোনো পর্যটন সুবিধাদি এখনো তৈরি হয়নি। ফলে বাংলাদেশের দেশজ অর্থনীতির জন্য পর্যটনের অবদান অতি অল্প।
আমরা দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি যদি বিদেশি পর্যটকদের সুবিধা বাড়াতে পারি- তবে অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখতে পারব। পর্যটন খাতও অনেক এগিয়ে যাবে।