মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নয় মাসেও হত্যাকারী শনাক্ত হয়নি

তনু হত্যা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

নয় মাসেও হত্যাকারী শনাক্ত হয়নি

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ৯ মাস পূর্ণ হচ্ছে ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার। মেয়ের হত্যাকারী শনাক্ত না হওয়ার বিষয়ে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, দিন যায়, মাস যায়, কিন্তু তনুর হত্যাকারী শনাক্ত হয় না। প্রতি মাসের ২০ তারিখ এলে মেয়ে হারানোর বেদনা নতুন করে জেগে ওঠে। ১৯/২০ তারিখ এলে মিডিয়ার লোকজন খোঁজখবর নেয়, আবার সব চুপচাপ। তনুর পরিবারের সূত্র জানায়, কুমিল্লা সেনানিবাসের ভিতরের একটি জঙ্গল থেকে গত       ২০ মার্চ রাতে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ও জেলা ডিবির পর গত ১ এপ্রিল থেকে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি-কুমিল্লা। সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজনের শুক্রাণু পাওয়ার কথাও গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল এবং তারা নিশ্চিত হয়েছিল ‘হত্যার আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি সঠিক ছিল না।’ সূত্র জানায়, আদালতের আদেশে সিআইডি ডিএনএ প্রতিবেদনটি দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ডকে সরবরাহ করলেও ৩ সদস্যের ওই মেডিকেল বোর্ড তনুর মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি। এদিকে এ মামলার দুজন তদারক কর্মকর্তা সিআইডি-কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান ও শাহরিয়ার রহমানের বদলির পর বর্তমানে মামলাটির তদন্ত তদারকি করছেন সিআইডি-কুমিল্লার পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মোশাররফ হোছাইন। এদিকে তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, দীর্ঘ ৯টি মাস পার হয়ে গেল, অথচ খুনিদের কেউ এখন পর্যন্ত ধরা পড়ল না। এ পর্যন্ত ঘাতকদের ডিএনএ মেলানোর কাজটিও শুরু করতে পারেনি সিআইডি। আমরা চাই তনুর প্রকৃত ঘাতকরা ধরা পড়ুক, শাস্তি পাক।  সন্দেহজনকদের ডিএনএ মেলানো ও মামলার বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং সিআইডি-কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে, তাই তদন্তনাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

সর্বশেষ খবর