শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভোট কেন্দ্র নিয়ে ভোগান্তি

আলী রিয়াজ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র নিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন অনেক ভোটার। কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে হবে তা খুঁজে পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে একাধিক ভোটার অভিযোগ করেছেন। গতকাল সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ এক নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা একজন মহিলা ভোটার জানান, এর আগে একাধিক বার এই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি। আজ (গতকাল) এখানে আমার ভোটার নম্বর খুঁজে পাইনি। পরে জানলাম আমার ভোট এখানে নয়। আরেকটি কেন্দ্রের কথা জানিয়েছে একজন পুলিশ। আরেকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, একই বাসার বাবা, মা, মেয়ের ভোট একেক কেন্দ্রে। জুয়েল রোড এলাকায় বাসা। ওই বাসায় চারজনের ভোট তিনটি কেন্দ্রে। মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার দুই মেয়ে। আমি রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছি। এবার আমার ও এক মেয়ের ভোট ওই কেন্দ্রে। আরেক মেয়ের ভোট আমেনা বেগম বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে সকালে ভোট দিতে আসেন প্রসেনজিত। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার নাম তালিকায় পাওয়া যায়নি। মন খারাপ করে ফিরে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিগত সিটি নির্বাচনও এই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছিলাম। আজকে এসে নিজের নাম তালিকা খুঁজে পাইনি। নির্বাচন কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই আমার নাম খুঁজে পাইনি।

নৌকার এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি : এক নম্বর ওয়ার্ডের রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে সাতটি বুথ। সাতটি বুথের তিনটি বুথে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইভী রহমানের এজেন্ট নেই। তবে বাকি চার বুথে এজেন্ট ছিল। বিষয়টি নিয়ে বুথে থাকা অন্য প্রার্থীর এজেন্টরা বলেছেন, সকালে একবার এসেছিল পরে আর ফেরেনি। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সাহাবুদ্দিন বলেন, সব প্রার্থীর এজেন্ট আছে। হয়তো বাইরে গেছেন এজন্য এখন নেই। যদি কেউ না এসে থাকে সেটা আমি জানি না। তবে কাউকে বাধা দেওয়া বা বের করে দেওয়ার ঘটনা নেই।

সব রিকশা কমিশনার প্রার্থীদের ভাড়া : সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার সব রিকশা কমিশনার প্রার্থীরা ভাড়া করে রেখেছেন। ওয়ার্ডের বিভিন্ন মোড়ে রিকশা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এসব রিকশায় ভোটারদের আনা নেওয়া করা হয়েছে। প্রতিটি রিকশার সামনে বিভিন্ন প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক যুক্ত কার্ড ঝোলানো ছিল। ভোট কেন্দ্রের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তাই কেন্দ্রের কিছুটা দূরে ভোটারকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইকবাল নামে এক রিকশাওয়ালার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার সব প্রার্থীই রিকশা ভাড়া করে রেখেছেন। ভোটাররা যাকেই ভোট দিক এই রিকশায় যেতে পারবেন। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভাড়া করা হয়েছে। এজন্য আটশ টাকা দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। তবে অগ্রিম কাউকে কোনো ভাড়া দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর