শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ধানের শীষ হারলেও জিতেছেন বিএনপির দুই নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ থেকে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান পরাজিত হলেও জয়ী হয়েছেন জেলার শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা। দুজনের মধ্যে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের ছেলে গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হন। এ ছাড়া সাবেক আরেক এমপি আবুল কালামের ছেলে আবুল কাউসার আশাও নির্বাচনে অংশ নেন। তবে তিনি বিজয়ী হতে পারেননি। বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, এ তিন নেতাই ব্যস্ত ছিলেন ছেলে ও ভাইকে নিয়ে। ধানের শীষের মেয়র নিয়ে তাদের প্রচারণা ছিল লোক-দেখানো। ভিতরে ভিতরে তারা আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে আঁতাত করেন বলে দলের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন। গতকাল পর্যন্ত তাদের রহস্যময় ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনেক নাটকীয়তার পর ধানের শীষের মনোনয়ন পান আইনজীবী নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান। নির্বাচনে বিএনপির তিনজন নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, আবুল কালাম ও গিয়াসউদ্দিনকে নির্বাচনের জন্য খোদ চেয়ারপারসন কয়েক দফা অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনজনের কেউ নির্বাচনে থাকতে রাজি হননি। পরে চেয়ারপারসন এ তিন নেতাকে ডেকে সাখাওয়াতকে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তার পক্ষে কাজ করার কড়া নির্দেশনা দেন। তিনজনের মধ্যে তৈমূরকে নারায়ণগঞ্জ শহর, গিয়াসউদ্দিনকে সিদ্ধিরগঞ্জ ও আবুল কালামকে বন্দরের দায়িত্ব দেন তিনি। কিন্তু শুরু থেকেই এ তিন নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। এর মধ্যে তৈমূরের ছোট ভাই মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও দুবারের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড, আবুল কালামের ছেলে মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং গিয়াসউদ্দিনের ছেলে গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন। গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে রিটার্নিং অফিসারের ফলাফল ঘোষণায় উঠে আসে জয়ী দুজন কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম। ঘোষণার পর মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াতের পরাজয়ে জেলা বিএনপিতে বিশাদের ছায়া নেমে এলেও উচ্ছ্বসিত ছিলেন ওই তিন শীর্ষস্থানীয় নেতার সমর্থক ও পরিবারের সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর