বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন ও গুমের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তাদের লোকজন জড়িত। তাদের ধরলেই সব বেরিয়ে যাবে। এভাবে চলতে পারে না। এর বিহিত করতেই হবে। গত রাতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসা শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বড়দিন উপলক্ষে কেক কাটেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন হলেই যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তারও কোনো গ্যারান্টি নেই। এ জন্য ভোটের সময় নির্বাচনের সহায়ক সরকারকেও নিরপেক্ষ হতে হবে। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন ভোট চলাকালীন একটি সহায়ক সরকার। যেটাকে বলছি নিরপেক্ষ সরকার। সেখানে কোনো দল থাকার দরকার নেই। নামকরা অনেক ভালো ব্যক্তি আছেন তাদের নিয়ে একটা সহায়ক সরকার হতে পারে। সে সরকারের মাধ্যমে যদি হয় যেখানে কেউ কোনো কারচুপি করার বা কাউকে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ থাকবে না— এ রকম একটা কমিশন বা সরকার হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বাহবা নিতে চেয়েছিল যে, তাদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বাইরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট।

তদন্ত প্রতিবেদন ২৩ জানুয়ারি : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন আগামী ২৩ জানুয়ারি ধার্য করেছে আদালত। গতকাল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করে সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই নতুন এ তারিখ ধার্য করেন। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ বার সময় আবেদন করলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক-দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়। ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সমাজে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নালিশি এ মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।