বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
দিয়াজের মৃত্যু

আসামি টিপু দুষলেন ছাত্রলীগের চারজনকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দিয়াজ ইফরান চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু অপরাধের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে সংগঠনের অন্য চার নেতাকে দায়ী করেছেন। সেই চার নেতা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুন, নাজিম, সৌমেন পালিত ও পাঠাগার সম্পাদক আবু বকর  তোহা। আলমগীর টিপু ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজকে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচিত’ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির চার নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানান। গতকাল টিপু চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান। ক্যাম্পাসের বাসা থেকে ২০ নভেম্বর রাতে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। শুরুতেই এটাকে হত্যা বলে দাবি করে পরিবার। চট্টগ্রাম  মেডিকেলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা ‘আত্মহত্যা’ বলার পর তা মেনে না নিয়ে হত্যা মামলা করেন দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় ময়নাতদন্ত হয় ১১ ডিসেম্বর। সংবাদ সম্মেলনে টিপু বলেন, দিয়াজের মৃত্যুর পর তার বোনের স্বামী ছরওয়ার চৌধুরী ও মামা রাশেদ বিন আমিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২৫ লাখ টাকার চেকের ভাগ দিতে দেরি হওয়ায় চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুন, নাজিম দিয়াজকে মারধর করে বলে জানিয়েছে। গ্রুপের নেতা হয়েও মামুন, নাজিমের হাতে মার খাওয়ায় অপমান সইতে না পেরে দিয়াজ আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অতীতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় দিয়াজের অনুসারীদের দায়ী করে টিপু বলেন, গণমাধ্যমের বিভিন্ন সংবাদে আমরা জানতে পারি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের দিয়াজ ইফরান বলেছিল, জুনিয়রদের ওপর থেকে আমার নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে। টিপু দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনায় তার ‘কথিত  প্রেমিকা’কে জিজ্ঞাসাবাদের দাবিও জানান। টিপু বলেন, দিয়াজের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে সে চবি ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ লাভ করে। পদ পাওয়ার পর সে দিয়াজকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। দিয়াজের মৃত্যুর পর থেকে ওই ছাত্রী আত্মগোপন করে আছেন এবং তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রেখেছেন বলে জানান টিপু।

সর্বশেষ খবর