শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

যাত্রীর পেট থেকে বেরোলো ৬০ লাখ টাকার সোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শরীফ আহমেদ নামে এক যাত্রীর পেট থেকে ৬০ লাখ টাকার সোনা উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গত বুধবার রাতে পেটের ভিতর থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ১২টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

কাস্টমস গোয়েন্দারা জানান, পেট কেটে সোনা উদ্ধারের ভয় দেখালে যাত্রী নিজেই পায়ুপথ দিয়ে সোনা প্রসব করে। কাস্টমস গোয়েন্দার মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বলেন, মালয়েশিয়া থেকে মালিন্দ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট (ওডি-১৬২) ঢাকায় আসে। ওই বিমানের যাত্রী শরীফের হাঁটাচলা অস্বাভাবিক দেখে সন্দেহ হয়। বিমানবন্দর গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই সোনা থাকার কথা স্বীকার করছিলেন না। তখন গোয়েন্দারা শরীফকে উত্তরা উইমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে পেটের এক্সরে করেন। এ সময় তার রেক্টামে ৩টি অস্বাভাবিক পুঁটলি দেখতে পাওয়া যায়। এক্সরে রিপোর্ট দেখানোর পরও যাত্রী তার কাছে সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন। এ সময় তিনি একজন বড় কর্মকর্তাকে আত্মীয় দাবি করে গোয়েন্দাদের হুমকি দেন। বলেন, বের হয়ে কাস্টমস গোয়েন্দাদের দেখে নেবেন। এ অবস্থায় কাস্টমস গোয়েন্দাদের উদ্যোগে কর্তব্যরত চিকিৎসক পেট কেটে সোনা বের করার জন্য যাত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। তখন শরীফ অপারেশন ছাড়াই সোনা বের করে দিতে রাজি হন। এরপর সেখান থেকে শরীফকে বিমানবন্দরে কাস্টমস হলে এনে পানি পান করানো হয়। একপর্যায়ে কাস্টমস গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে টয়লেটে গিয়ে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে একে একে তিনটি কনডম বের করে আনেন শরীফ। কনডমগুলোর ভিতরে চারটি করে ১২টি সোনার বার পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরীফ জানিয়েছেন, তিনি কুমিল্লার বুড়িচং থানার ময়নামতি বাজারের বাসিন্দা। মালয়েশিয়ায় বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কনডম দিয়ে পায়ুপথে সোনা পাচারের কৌশল রপ্ত করেন। ২০১৬ সালে তিনি ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করেন। সর্বশেষ ৩ জানুয়ারি ব্যবসার কাজে মালয়েশিয়া যান। বুধবার দেশে ফেরার পথে তিনি শাহজালালে ফ্লাইট অবতরণ করার ৩০ মিনিট আগে বাথরুমে গিয়ে সোনার বার মোড়ানো কনডমগুলো পায়ুপথে ঢুকিয়েছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর